খবর৭১: কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যর পর তার (খালেদা জিয়া) নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করিব রিজভী।
শুক্রবার (২০ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা বারবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার ও কারাকর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত করছে না। বৃহস্পতিবার শারীরিকভাবে অসুস্থ দেশনেত্রীর সাথে দেখা করার জন্য দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র নিয়ে কারাফটকে গেলেও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি কারাকর্তৃপক্ষ। প্রতিহিংসায় কাণ্ডজ্ঞানহীন সরকার দেশনেত্রীকে নির্যাতন করাটাই ছিল যেন মূল টার্গেট, আর সেজন্যই আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সাজা দিয়ে দেশনেত্রীকে বন্দী করে রেখেছে। আমি আগেও দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে তিনি চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য আরও ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত বহন করে। তার বক্তব্যে প্রমাণিত হলো, সত্যি সত্যি তারা বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন নিয়ে একটা গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। আমি আবারও অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মু্ক্তি দাবি করে তাঁকে তাঁর পছন্দানুযায়ী চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ প্রদানের জন্য জোর আহবান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-‘টেকসই শান্তি এবং স্থিতিশীলতার ভিত্তি হচ্ছে গণতন্ত্রের উন্নয়ন, সুশাসন ও আইনের শাসন’। তার এ বক্তব্যে কমনওয়েলথে যোগ দেয়া বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা নিশ্চয়ই বিস্ময়ে হতবাক হয়েছেন। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে স্বৈরাচারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ তো দূরে থাক, ন্যুনতম গণতন্ত্র, সুশাসন ও আইনের শাসন সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য যেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি চরম উপহাস ও মসকরা করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
খবর৭১/জি: