​ভারত সরকারের লজ্জিত হওয়া উচিত: কার্লাইল

0
447

খবর৭১ঃ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে চেয়েছিলেন এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড আলেকজান্ডার কার্লাইল।

দিল্লির বিমানবন্দরে থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তার পুরোপুরি অসত্য ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ কিউসি ও হাউস অব লর্ডসের এই সদস্য। ভারতে প্রবেশ করতে না দেয়ায় ভারত সরকারের লজ্জিত হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান কার্লাইল বলেন, ‘তিনি দিল্লিতে এসেছিলেন দুটি কারণে-খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক দলের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং একটি কমনওয়েলথ বডির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে, যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন।’

ভিসা প্রত্যাহার নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনো যৌক্তিক কারণ দেখায়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) আমি যখন হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করি তখন দুই দফায় স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় আমার ভিসা পরীক্ষা করা হয়। পরে যখন দিল্লি পৌঁছে ফোন চালু করলাম, তখন আমাকে জানাল হল, আমার ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমার ভারতে যাওয়া ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ‘অসহনীয় চাপ’ ছিল। বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে বলেছে ভারত সরকারকে আমাকে ঢুকতে না দেয়ার অনুরোধ করতে।’

ব্রিটিশ এই আইনজীবী বলেন, ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রতি আমার শ্রদ্ধা চুরমার হয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক চাপের মুখে তারা যেভাবে নতিস্বীকার করল এবং সত্তর বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ানের সঙ্গে যে আচরণ করল, তাতে তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত, কৈফিয়ত দেয়া উচিত।’

উল্লেখ্য, বুধবার (১১ জুলাই) গভীর রাতে দিল্লি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান কার্লাইল। তখন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে জানান যে, ভারত সরকার তার ভিসা প্রত্যাহার করেছে। এরপর তাকে দিল্লীর বিমানবন্দর থেকেই লন্ডনের ফিরতি ফ্লাইটে তুলে দেয়া হয়। কার্লাইল বাংলাদেশে এসে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তার ভিসা দেয়নি। এজন্য তিনি ১৩ জুলাই (আজ) দিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিল।

কার্লাইল ফেরত পাঠানোর পরপরই ভারত তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিল, ‘উপযুক্ত ভিসা নিয়ে না আসার’ লর্ড কার্লাইলকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর একদিন পরই সুর পাল্টায় ভারত।

বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছেন, ‘তার উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। এবং ভারত ও বাংলাদেশের বিরোধী দলের (বিএনপি) মধ্যেও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে চেয়েছিলেন।’
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here