৭০ বছর পুরানো সুতাং ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটির এক পাশ ধেবে গেছে

0
300

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধেবে গেছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং ব্রীজের এক পাশ।গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শায়েস্তাগঞ্জ-অলিপুর পুরাতন সড়কের সুতাং নদীর উপর ব্রীজটির এক পাশ ধেবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ঝুকিপূর্ণ ব্রীজটি পরিদর্শন করেন তার নিজ উদ্যোগে বড়ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রীজের দুনু পাশে দুই দিকে বাশ দিয়ে সড়ক বন্ধ করেছেন। যাতে করে ব্রীজের উপর দিয়ে বড় ধরনের কোন যানবাহন পারাপার না করতে পারে। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো:মুখলিছ মিয়া বলেন, অতিবৃষ্টির কারনে ব্রীজটি এক পাশ ধেবে গেছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা যেনো না ঘটে তাই ব্রীজের এক সাইট বন্ধ করা হয়েছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ঐ এলাকার সুরাবই গ্রামের প্রবীণ মুরুব্বী সৈয়দ গাজিউর রহমান জানান, প্রায় ৭০ বছর আগের এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। শায়েস্তাগঞ্জ থেকে জগদীশপুর যাওয়ার একমাত্র সড়ক ছিল এটি। সড়কটিতে তখন সুতাং নদীর উপর দিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। বতর্মানে ব্রীজটির অবস্থা জরাজীর্ণ যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে ব্রীজটি। ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ হিসেবে রয়েছে তালিকায়। এখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ছোট, বড় ও ভারি যানবাহন চলাচল করছে। সুতাং ব্রীজের পাশেই রয়েছে বাশের বড় বাজার প্রতি বুধবার ও রবিবারে বসে বাশের হাট। হবিগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এই ব্রীজ দিয়ে বাশ কিনতে আসে এই বাজারে। ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ঢাকা সিলেট মহাসড়ক দিয়ে বিকল্প সড়কে আসতে হয় এই বাজারে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে ব্রীজটি একপাশ ধেবে গেছে।এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।ব্রীজটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। ব্রীজটি দ্রুত মেরামত করা না হলে এটি মরন ফাঁদে পরিণত হবে। জনস্বার্থে ৭০ বছর পুরানো ব্রীজটির প্রতি কর্তৃপক্ষের দ্রুত নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসী। ব্রীজটির ঝুকিপূর্ণ খবর শুনে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ গত বুধবার বিকেলে ব্রীজটি পরিদর্শন করেন। এবং অবিলম্বে ব্রীজটি মেরামতের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here