খবর৭১:কারাবন্দি ৫৮ রোহিঙ্গাকে মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসন হিসেবে দাবি করছে মিয়ানমার। ওই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থাকার মতো পরিবেশ না পেয়ে স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মিয়ানমার তাদের আটক করেছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের মুক্তি দিয়ে পুনর্বাসনের জন্য প্রত্যাবাসন শিবিরে পাঠিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসনে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশকেই দায়ী করছে মিয়ানমার। তারা বলছে, তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। ওই ৫৮ রোহিঙ্গা গত চার মাসে বাংলাদেশ ছেড়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার। তবে বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি। এর আগেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়েছে বলে দাবি করলেও বাংলাদেশ তা নাকচ করে।
এদিকে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজেবির কাছে তমব্রু সীমান্ত থেকে সৌরবিদ্যুত্ ও সিসিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছে। গত বুধবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে তারা ওই দাবি করে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারেই সৌর বিদ্যুতায়ন ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
বাংলাদেশ মিয়ানমারকে সীমান্তে উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের হুমকি-ধমকি না দিতে এবং আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ালেখার ব্যাঘাত না ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমার বলছে, সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থানরতদের সতর্ক করতেই তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে।
খবর৭১/জি: