খবর৭১:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল বলছেন, আমাদের কারাগারের ধারণক্ষমতা ৩৬ হাজার ৬০০। বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছে প্রায় ৮০ হাজার। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশই মাদকদ্রব্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে মোবাইল কোর্ট ও নিয়মিত আদালতের রায়ে কারাবন্দি।
মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ২৬ জুন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যাপকভাবে অভিযান চালাচ্ছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের শক্তিশালী ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অপারেশনাল কাজে জনবল কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে এনে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
‘সরকার প্রয়োজনে একটি পূর্ণাঙ্গ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বাহিনী হিসেবে এ অধিদফতরকে ঢেলে সাজানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। মাদক সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় নোডাল এজেন্সি হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে আন্তরিক ও সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মাদক অপরাধীদের বিচার দ্রুত ও তাৎক্ষণিক করার জন্য সরকার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধ বিচারের পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি অধিদফতরের জন্য দুজন সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাদক সংক্রান্ত মামলা সহজে নিষ্পত্তি আরও জোরালো হবে। পাশাপাশি তা মামলার জট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
‘তবে মোবাইল কোর্ট আইনের অপব্যবহার যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, মাদক নির্মূলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে অবৈধ পাচার প্রতিরোধে দেশ দুটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে অধিদফতরের দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনসহ সচিব ও মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হচ্ছে। ইয়াবার প্রবেশ ঠেকাতে তাদের সহযোগিতার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
খবর৭১/জি: