খবর৭১ঃ আজ ২৮ মার্চ বর্তমানে ঢালিউড সাম্রাজ্যের কিং শাকিব খানের ৪০তম জন্মদিন। শুধু ঢাকাই সিনেমা নয়, ভারতের কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও রাজার মতোই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শাকিব খান।
এ নায়কের কাঁধে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকাই সিনেমা। এরই মধ্যে কোটি ভক্তের হৃদয়ের সুপারস্টার তিনি। তবে বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তাকে এ অবস্থান অর্জন করতে হয়েছে।
১৯৯৯ সালে আফতাব খান টুলু পরিচালিত ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান শাকিব খান। তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’। প্রথম সিনেমাতেই সফলতা পান তিনি। কিন্তু সে সফলতাকে পুঁজি করে পথ চলাটা তার জন্য সহজ ছিল না। সময়ের পরিক্রমায় আজ তিনি দেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেয়া অভিনেতা।
ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব। ২০১০ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাকিব খান। ২০১২ সালে ‘খোদার পরে মা’ এবং ২০১৫ সালে ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ সিনেমার জন্যও তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
জন্মদিন প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘আয়োজনে বিশেষ কিছু থাকে না। সময় থাকলে কোনো রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক ভাইরাসহ আমাকে যারা সবসময় সহযোগিতা করে এসেছেন তাদের নিয়ে সময় কাটাই। তাছাড়া গত দু’বছর আমার সন্তান জয়কে নিয়েও দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ওর সঙ্গে জন্মদিনের প্রথম প্রহর অথবা বিকালে কোথাও ঘুরতে যাব।’
তৎকালীন সিনেমা বোদ্ধারা আগেই বলেছিলেন শাকিব খান লং টার্ম কাজ করা তারকা। ঢালিউডে লং টার্ম কাজ করা অন্যান্য তারকা যেমন রাজ্জাক, জসিম, আলমগীর, ইলিয়া কাঞ্চন, মান্না তাদের পাশাপাশি শাকিব খানের নামটা যোগ হয়েছে। শাকিব তার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছে। ছবির দিক থেকে কোয়ালিটি আর কোয়ানটিটির বড় তফাৎটা যদিও রয়ে গেছে তার ক্যারিয়ারে। তবুও কমার্শিয়াল ও অফট্র্যাক দুই ধরনের ছবিতেই কাজ করে নিজের যোগ্যতাকে তুলে ধরেছেন তিনি।