খবর৭১: ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসে দলের হাল ধরার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৩০ জুলাই যেদিন বাংলার মাটি থেকে গিয়েছিলাম। সেদিন তো সব-ই ছিল। আমার আব্বা-মা। কামাল-জামাল-রাসেল, কামাল-জামালের নবপরিণিতা বধূ। আমার চাচা। সবাই ছিল। কিন্তু যেদিন ফিরে এলাম। নিঃস্ব, রিক্ত, একা। কেউ নেই। কোনো চেনা মুখ নেই। আমি সেদিন নেমে কী দেখলাম? বনানীতে সারি সারি কবর। এটা সহ্য করা অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। দূরে থেকে শুনেছি একরকম আর চোখের সামনে এই রকম। সারি সারি কবর দেখেছি। ৩২ নম্বরে যাব। সবার জন্য দোয়া করতে, জিয়াউর রহমান ৩২ নম্বরে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। রাস্তায় বসে বাবা-মা-ভাইবোনদের জন্য দোয়া করেছি।
এ সময় কণ্ঠ ভারী হয়ে যায় শেখ হাসিনার। এরপর ডায়াসে গ্লাসে রাখা পানি খেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সব হারিয়ে নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে এসেছি। কিন্তু পেয়েছি, আমার পরিবার, বিশাল পরিবার। আমার পরিবার হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সহযোগী সংগঠন। আমি তাদের কাছে স্নেহ ভালোবাসা পেয়েছি। আর পেয়েছি বাংলার জনগণের ভালোবাসা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের সময় মহাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো থেকে বিভিন্ন তদবির আসার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের গণমানুষ। আমার শক্তি হচ্ছে আমার সংগঠন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। যে কারণে যে কোনো সাহসী পদক্ষেপ নিতে আমি কখনও পিছপা হই না। কারণ জাতির পিতা শিখিয়েছিলেন, কারও কাছে মাথানত না করা।
খবর৭১/এস: