২ সপ্তাহ পর দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের

0
443

খবর ৭১ঃ বাইপাস সার্জারির পর অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এসময় প্রধানমন্ত্রী তাকে আরও দুই সপ্তাহ সিংগাপুরে অবস্থান করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে আসতে বলেছেন।

বুধবার (১ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত ২০ মার্চ বাইপাস সার্জারির পর কাদের এই প্রথম কারও সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললেন।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা তার তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফাইয়াজ গণমাধ্যমকে এই ফোনালাপের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী আরও দুই সপ্তাহ সিংগাপুরে অবস্থান করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে তারপর দেশে ফিরতে বলেছেন ওবায়দুল কাদেরকে। সেই অনুযায়ী আরও দুই সপ্তাহ পর তিনি দেশে ফিরবেন।

তিন দিন আগে ওবায়দুল কাদের সিংগাপুরে তার অ্যাপার্টমেন্টের নিচে মর্নিং ওয়াক করছেন— এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, নিজে নিজেই তিনি স্বাভাবিক গতিতে হাঁটছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তার শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। শারীরিকভাবে তিনি এখন প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছেন। তবে এখনো তিনি তার চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন।

গত ২ মার্চ ভোরে ঢাকায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। সেখানে এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রাথমিকভাবে ওবায়দুল কাদেরকে সিংগাপুরে পাঠানোর চিন্তা করা হলেও তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পাঠানো হয়নি। পরে সিংগাপুর থেকেই চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরদিন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠিকেও ঢাকায় আনা হয়। কাদেরের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে দেবী শেঠির পরামর্শে তাকে ৪ মার্চ বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই রাতেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডা. ফিলিপ কোহ’র নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে গত ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করেন মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here