খবর ৭১: সেতু তৈরির কাজ শেষ করতে আরও প্রায় দুই বছর বাড়তি সময় চেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি । সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২০ সালের আগে সেতুর কাজ শেষ করা কঠিন হবে।
শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদী এখন শান্ত। মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত নদীর উপর তৈরি হচ্ছে ছয় দশমিক পনের কিলোমিটারের দীর্ঘ পদ্মাসেতু। স্বপ্নের এই সেতু তৈরির কর্মযজ্ঞ চলছে পুরোদমে। এরইমধ্যে দুটো পিলারে বসানো হয়েছে একটি স্প্যান। এখন দ্বিতীয়টি বসার অপেক্ষায়।
পদ্মা সেতু তৈরির কাজ দেখে আশায় বুক বেঁধেছেন কষ্ট ও ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দেয়া দক্ষিণ ও পশ্চিমের মানুষ। সেতু তৈরির কাজ থেমে না থাকলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ছাব্বিশ ভাগ। এই বছরের শেষ নাগাদ সেতুটি উদ্বোধনের লক্ষ্য থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না।
সেতু বিভাগের তথ্যমতে, পিলারের নিচে ৯৮ থেকে ১২৮ মিটার পর্যন্ত গভীর পাইল বসানো হচ্ছে। বিশ্বে এত গভীরে পাইল বসিয়ে সেতু তৈরির নজির নেই। এছাড়া পদ্মার তলদেশে নতুন করে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিত পরিস্থিতি। ১৪টি পিলারের পাইলিং করতে গিয়ে মাটির ৪০০ ফুট গভীরে কাদার স্তর ধরা পড়েছে। সেখানে পাইলিং শেষ হলে তা সেতুর ভারবহন করতে পারবে না। তাই এসব পিলারের নকশা বদলানো হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেছেন, আমাদের নদীর তলদেশ আছে তা আগামী কয়েক বছরে নাও থাকতে পারে। মাটির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে, আগামী এক’শ বছরে ঐ মাটিটা ইরোডেট হবে না। এই মাটি দিয়েই সম্পূর্ণ লোড নিতে হবে। তাই কাজ করার জন্যে মাটির সবচেয়ে গভীরে যেতে হচ্ছে।
এ অবস্থায় চায়নার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত ২৩ মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছে। তবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।