২০১৪ সালের মতো সহিংসতা যেন না ঘটে : সিইসি

0
291

খবর৭১ঃ২০১৪ সালের নির্বাচনকালীন সহিংসতার কথা মাথায় রেখে এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রূপরেখা তৈরি ও কৌশল অবলম্বন করতে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি)।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে মাঠে স্বশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির উপস্থিতিতেও অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। এমনকী পুলিশ সদস্য, প্রিজাইডিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছেন। শতশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে।

কেন আর কোন পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি সে আলোচনায় না গিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন ২০১৪ সালের পূনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সতর্ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান সিইসি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এ বৈঠকে।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র্যাব, আনসার, গ্রামপুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ওই নির্বাচনে ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই নির্বাচনের অবস্থা আলোকে বুঝে এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রূপরেখা তৈরি ও কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন, যাতে করে এবার ভয়ঙ্কর অবস্থা, তাণ্ডব না ঘটে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে সিইসি ‘এবারের নির্বাচনে আপনাদের দায়িত্ব জনগণের জীবন রক্ষা, মালামাল রক্ষা, দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত রাখা।

পেশাদারি দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও মানসিকতাকে পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার যোগ করেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টি হোক তা না চাওয়ার দলের প্রভাবকরাও সক্রিয় থাকতে পারে। তাই সকলের বিশেষ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন আসতে আর মাত্র ১৬ দিন। ইতিমধ্যে আমরা নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

ক্রয়যোগ্য মালামাল সংগ্রহ শতকরা ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে ও ব্যালটপেপার, ভোটকেন্দ্র, ভোটারতালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here