১০৫ আসনে এগিয়ে ইমরানের দল

0
284

খবর ৭১ঃ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে পাকিস্তানে এরই মধ্যে বেসরকারিভাবে ফল প্রকাশ হতে শুরু করেছে। বুধবার দিনগত রাত সোয়া ১টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের (এনএ) ১০৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে। ডনের লাইভ আপডেটের তথ্য অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) এগিয়ে রয়েছে ৭১টি আসনে। নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লীগসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট ৩৪২ আসনের মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি ৭০টি আসন নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। কোনো দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ২৭২ আসনের মধ্যে ১৩৭ আসনে জিততে হবে। বুধবার জাতীয় পরিষদের সঙ্গে দেশটির চারটি প্রাদেশিক পরিষদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে সংশ্লিষ্ট দলকে ১৩৭টি আসন পেতে হবে। যদি কেউ এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে পাকিস্তানের শাসনভার যাবে জোট সরকারের হাতে।

পাকিস্তানের স্থানীয় সময় রাত আটার কিছু আগেই পেশোয়ারের এনএ-২৭ আসনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের কর্মীরা বিজয় উল্লাস শুরু করেন। ইমরান খানের সমর্থকদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় পাকিস্তানের অন্যান্য স্থানেও। যদিও ততক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন কোনও ফল ঘোষণা করেনি। এর মধ্যে ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগের’ (পিএমএল-এন) পক্ষ থেকে মরিয়ম আওরঙ্গজেব ভোট গণনার প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার দলের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘দ্বার রুদ্ধ করে ভোট গণনা হয়েছে’।

মরিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে পাঞ্জাব প্রদেশের একজন নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, ‘রাজনীতিবিদদের উচিত প্রমাণবিহীন অভিযোগ না করা।’ ভোট গণনার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ভোট গনার সময় প্রত্যেকটি দলের পক্ষ থেকে একজন করে পোলিং এজেন্টকে থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু মরিয়মের মতো, ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টি’ও (পিপিপি) পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। দলটির পক্ষে মাওলা বক্স চানদিও জানান, তার দলের পোলিং এজেন্টদের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে থাকতে দেওয়া হয়নি। একইভাবে ‘পাক সারজামিন পার্টির’ (পিএসপি)নেতা রাজা হারুন অভিযোগ করেছেন, করাচির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে তার দলের পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে তিন হাজার চারশ ৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২৭২টি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে পাঞ্জাব থেকে এক হাজার ছয়শ ২৩ জন, সিন্ধ থেকে আটশ ২৪ জন, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে সাতশ ২৫ জন এবং বেলুচিস্তান থেকে দুইশ ৮৭ জন প্রার্থী। শিস্নগস্তা পূর্ণ নির্বাচনি প্রচারণায় আত্মফহাতি বোমা হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রার্থীসহ রেকর্ড সংখ্যক বেসামরিক মানুষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here