আমিনুল ইসলাম,হোমনা,(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার হোমনা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন লাইফ কেয়ার নামের একটি বে-সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. সায়মা আহমেদকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট ডা. রাশেদুল আলম ও ডা. সালাম সিকদার। কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার ভোরে উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবদুল আলিম মোল্লার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে উপজেলা পরিষদ রোডের বে-সরকারি লাইফ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করেন হাসপতালে কর্মরত চিকিৎসক আবু নাসের। অপারেশনের পর সাবিনার রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। এরপর বেলা নয়টায় তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করলে পথে তার মৃত্যু হয়।
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, আমি বিষয়টি জেনে আমার স্টাফের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং এই কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি জানতে পেরেছি প্রসূতি মায়ের (সাবিনা ইয়াছমিন) ভোর ছয়টায় অপারেশনের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। সেকারণে তাকে সকাল নয়টায় ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে লাইফ কেয়ার হাসপাতালের মালিক মো. কবির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সকাল ছয়টায়/ সাতটায় প্রসূতির অপারেশনের পর রক্তক্ষরণ হলে আমাদের চিকিৎসায় তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেও পুনরায় রক্তক্ষরণের আশঙ্কায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করি। ঢাকা মেডিকেলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর৭১ঃ
