হেমন্তেই শীতের আমেজ

0
248

খবর৭১ঃসবে শরৎ বিদায় নিল। এলো হেমন্ত। বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, শীত আসতে দেরি আরো দুই মাস। কিন্তু গ্রাম থেকে নগর, সব জায়গায়ই যেন শীতের আয়োজন। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে, সেই মেঘে ছেয়ে গেছে সারাদেশের আকাশ। তাই তাপমাত্রা কমে গিয়ে হঠাৎ করেই যে শীতের আমেজ প্রকৃতিতে।

এর পাশাপাশি সকাল-সন্ধ্যা একটু দূরে দেখা যাচ্ছে সাদা মেঘের মতো কুয়াশা। ভোরের হিমেল হাওয়ায় শীতের অনুভূতি আরো বেশি। কার্তিকের প্রথম সপ্তাহে এমনই শীতের আবহ তৈরি হয়েছে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ না এলে নামবে না হাড়কাঁপানো শীত।

তবে এবার হেমন্তেই কড়া নাড়ছে শীত। কংক্রিটের নগরে বন্দি থাকা মানুষগুলোর শরীরে শেষ রাতে উঠেছে কাঁথা। গ্রামের চিত্র আরো সুশোভিত। হালকা কুয়াশা ভেদ করে মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষক।

গাছিরা কোমরে রশি বেঁধে উঠছেন খেজুর গাছে। নামাচ্ছেন মিষ্টি মধুর খেজুরের রস। ঘরে-ঘরে শুরু হয়েছে নবান্নের প্রস্তুতি।

এখনও গ্রামের মতো শহরে রাতে পুরো দস্তুর গায়ে কাঁথা জড়াতে হয় না বটে তবে শেষ রাতের শীতে কাঁথার উষ্ণতা খোঁজে সবাই। রাজধানীর পথে ইতোমধ্যে গরম কাপড়ের পসরা বসেছে। সন্ধ্যার পর হাত বাড়ালেই পথের পাশে ভাপা, পাটিসাপটাসহ শীতের নানা পিঠাপুলি পাওয়া যায়। শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে অনেক আগেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর মাসে হাড়কাঁপানো খুব একটা শীত পড়ে না। সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকে শীত পড়তে শুরু করে। তবে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই এবার শীত পড়তে শুরু করবে। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে দুই একটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে উত্তরাঞ্চলে শীত জেঁকে বসতে পারে। শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা তখন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে।

রোববার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here