হাসিনা-মোদি বৈঠকে রোহিঙ্গা তিস্তা ইস্যু সাইডলাইনে

0
265

খবর৭১: আগামীকাল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত এপ্রিলের পর এটি তাদের ‍তৃতীয় অনানুষ্ঠানিক বৈঠক। এই বৈঠকে বাংলাদেশের বহুল-প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকনোমিক টাইমস জানিয়েছে, ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত থাকবেন। তার উপস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আশা জাগিয়েছে। ভারতের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির কারণেই চুক্তিটি হচ্ছে না। তবে এবার এ ব্যাপারে মমতা কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে পারে বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ইকনোমিক টাইমস।

হাসিনা-মোদির বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঢাকা চায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করুক দিল্লি। দুই নেতার আলোচনায় পানি, দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ এবং অবকাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।

এই সফরে শান্তিনিকেতনে বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বক্তব্য দেবেন মোদি ও শেখ হাসিনা। এরপর তারা দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। দুই নেতা একসঙ্গে বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির বৈঠকে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হলেও তা প্রাধান্য পাবে না। এর আগে বুধবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন এড়িয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যথাযথ সময়ে বিষয়টি জানানো হবে। এর বেশি কিছু বলার নেই।’

ওই বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই। যদি মোদি এ ব্যাপারে জানতে চান- কেন নয়। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী।’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি জানান, ভারত রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে রাখাইনে বাড়িঘর নির্মাণ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করছে।

আগামীকাল শুক্রবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কলকাতায় যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। ২৬ মে আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট দেয়া হবে। এরপর শেখ হাসিনা যাবেন নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসুর বাড়ি নেতাজী ভবনে। একইদিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here