হারিয়ে যাচ্ছে হলদে ফসল কাউন চাষ

0
2025

খবর ৭১:

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে কোথাও তেমন কাউন চাষাবাদ খুজে পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ সখের বসে ৫/১০ শতক জমিতে কাউন চাষ করেছেন।
এ সময় কথা হয় সোনাহার ইউনিয়নের ডাংগা পাড়া গ্রামের চাষী মুক্তার আলীর সাথে। তিনি ১৫ শতক জমিতে কাউন চাষ করেছেন। বর্তমানে কাউন এর শীষ বের হয়েছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে কাউন ঘরে তুলবেন।
আরো কয়েকজন কৃষক কাউন আবাদ করেছেন অল্প জমিতে শখের বসে। অনেক কৃষক জানান, কাউন চাষ আমাদের আর করতে হয় না। এখন ভুট্রা আর বাদাম চাষাবাদ বেশী হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল এখন ভুট্রা আর বাদামের ক্ষেতে ভরে গেছে। তারা জানান, এখন কাউন আবাদ করতে কৃষকরা আর আগ্রহী নয়।
এমন এক সময় ছিল অনেক মানুষ কাউনের ভাত খেয়ে জীবিকা নিবার্হ করতো। এই তো ১০/১৫ বছর আগে আষাঢ় ও শ্রাবন মাসে অনেকে কাউন এর ভাত খেয়ে দিনাতিপাত করেছে।
কাউন এর আবাদ না করার কারণ হিসেবে তারা জানান, বাজারে কাউন এর দাম কম। দাম কম হওয়ার কারণে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন না কাউন চাষা করে। এজন্য অনেক কৃষক কাউন চাষ ছেড়ে দিয়েছেন।
এখন উপজেলার প্রায় প্রত্যেক কৃষক বোরো ধান ব্যাপক হারে চাষাবাদ করছে। তাই কৃষকদের আর ভাতের অভাব দেখা যায় না। তাই অভাব দুর করার জন্য তাদের আর কাউন এর ভাত ক্ষেতে হয় না।
কাউন চাষ যে ভাবে হারিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম পরবর্তীতে আর কাউন চাষাবাদ সম্পর্কে কিছু জানবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, আমরা কৃষি বিভাগ কৃষকদের সব রকমের রবিশষ্যের চাষাবাদ করতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করি। বর্তমানে কাউনের চাল ৪০ টাকা কেজিতে বিত্রি“ হচ্ছে।
কাউনের চালের পায়েস খেতে ভাল লাগে। কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে এবং কাউন গাছ থেকে জমির ভাল সার তৈরী হয়। তিনি বলেন কাউন চাষ এ অঞ্চলের কৃষক দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
আমরা ৫০ হেক্টর জমিতে কাউন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে মর্মে কৃষি কর্মকর্তা জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here