হামলার পর ডাকসুর সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব

0
416
হামলার পর ডাকসুর সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব

খবর৭১ঃ ওপর হামলার পর সিসিটিভি ফুটেজও গায়েব হয়ে গেছে। কে বা কারা ফুটেজগুলো নিয়ে গেছে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ডাকসু ভবনের বাইরে এবং ভেতরে মিলিয়ে মোট ৯টি সিসি ক্যামেরা আছে। ক্যামেরাগুলো অক্ষত থাকলেও ফুটেজ সংরক্ষণে থাকা মনিটর এবং সিপিইউয়ের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। বলা হচ্ছে হামলাকারীরা সিসিটিভিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি নিয়ে গেছে।

ডাকসুর প্রশাসনিক অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘হামলার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। প্রক্টর স্যারকে আনতে গিয়েছিলাম। এসেই দেখি কম্পিউটার সরঞ্জামাদি ভেঙে চুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

রবিবার ভিপি নুর ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন হামলা চালায়। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ডাকসু কার্যালয়ে ভিপি নুরের কক্ষে ও ভবনের সামনে এই বর্বর হামলা চালানো হয়। হামলায় নুর ও তার সংগঠনের ৩১ নেতাকর্মী আহত হন।

জানা গেছে, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শতাধিক নেতাকর্মী নুরের কক্ষে ঢুকে লাইট বন্ধ করে হাতুড়ি, রড, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। পিটুনির একপর্যায়ে ভিপি নুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা গেছে। এছাড়া একজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় ডাকসু ভবনের কাচ ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। পরে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীকে আহতদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভিপি নুর বেঁচে আছেন না মারা গেছেন, তা বিবেচ্য নয়।’

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হামলায় অংশগ্রহণ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপস্কুলবিষয়ক সম্পাদক খাজা খায়ের সুজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী এস এম হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী তানভীর শিকদার, জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের ইমরান আহমেদ, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের রবিউল ইসলাম, এফ রহমান হল ছাত্রলীগের আব্দুল আলিম খান, শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের হোসাইন আহমেদ সোহান, জহুরুল হক ছাত্রলীগের কামাল উদ্দিন রানা, সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের মারিয়াম জামান খান সোহান, বঙ্গবন্ধু হল সংসদের জিএস মো. মেহেদী হাসান শান্ত, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যসহ আরো অনেকে।

হামলায় ছাত্রলীগের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো কর্মী হামলার সময় ছিল না। মধুর ক্যান্টিন থেকে কিছু উত্সুক ছেলে সেখানে গিয়েছিল।’

এদিকে ঘটনার পর দিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here