হাতীবান্ধায় সর্বচ্চ সাউন্ট দিয়ে মাইক প্রচার

0
1596

কাজী শাহ্ আলম,হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা সদর সহ সর্বত্র দিবারাত্রী সর্বচ্চ সাউন্ট দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাইক প্রচার, ছোট বড় যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ণ সহ সর্বপ্রকার বিকট শব্দে রোগী,ছাত্র/ছাত্রীসহ সর্ব সাধারন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আইন থাকলেও প্রতিকারে মাথা ব্যাথা নেই কারো।
জানাগেছে, শব্দ দূষন রোধে সরকার দিক নির্দেশনা সহ নিয়মনীতি ও আইন প্রণয়ন করেছে। আর এসব আইন বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ কৃতপক্ষ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। অবিশ্বাস হলেও সত্য যে,আইন ও নিয়মনীতি থাকলেও কী হবে? আসলে বাস্তবায়নে কেউ নেই। যেমন মাইক যোগে মাছ,মাংস,সুটকি,মরিচ,পেয়াজ,লবন,তেলসহ সর্ব প্রকার পণ্য বিক্রয়ে ব্যাপক প্রচার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি,প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিচিতি, হোটেল রেস্তোরায় উন্নত খাবার পরিবেশন, যানবাহনের টিকিট কাউন্টার, হারানো বিজ্ঞপ্তি,ভুট্টাবীজ ও কীটনাশক কোম্পানীর প্রচার,শোক সংবাদ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ব্যাপক প্রচারে রিক্সা,অটো রিক্সা,ভ্যান ও মাইক্রোবাসে ২/৩টি করে মাইক বেধে দিনে এমনকি গভীর রাত্রী পর্যন্ত সর্বচ্চ সাউন্ট দিয়ে প্রচার করে, শহর বন্দর গ্রাম গঞ্জে বিকট শব্দে কান ঝালাপালা করে তুলেছে। এতে শুধু পরিবেশ হুমকি নয়,হাসপাতালে মুর্মূষ রোগী,স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী,মসজিদে নামাজরত্ব মুসুল্লি,অফিস আদালতের কার্যক্রমের ব্যাঘাত সৃষ্টিসহ সর্বসাধারন অতিষ্ট।
যাহা অনুমতি ছাড়াই এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী প্রচার করছে। আইন আছে কিংবা অনুমতি নিতে হয় বলে কিছু মনে করেনা। অপর দিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কৃতপক্ষ জেনেও না জানার ভান করে নিরবতা পালন করছে। বিষয়টি উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত একাধিক মাসিক সভায় উপস্থাপন করা ও একাধিক রেজুলেশন করা হলেও বাস্তবায়নে কোন কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। যাহা রহস্যজনক বলে মনে করেছেন কমিটির সদস্য বৃন্দ। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কৃতপক্ষের আশু দৃষ্টি প্রয়োজন বলে মনে করেছেন ভুক্ত ভোগীরা। যাতে গভীর রাত্রীতে কোন মাইক প্রচার করা না হয়। #
ছবি ক্যাপশন-নিয়মনীতি না মেনে সর্বচ্চ সাউন্ট দিয়ে গভীর রাত্রীতে মাইক প্রচার, ছবিটি শনিবার রাত্রে হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সামন থেকে তোলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here