হাতীবান্ধায় এক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে সংর্ঘষ ছাত্র-শিক্ষকসহ আহত-১২

0
439

কাজী শাহ্ আলম, হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আমঝোল নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে এক সংর্ঘষে ছাত্র-শিক্ষকসহ উভয় পক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৯ সালে আমঝোল এলাকার আহম্মেদ হোসেনের পুত্র আবুল হোসেনসহ কয়েকজন মিলে আমঝোল নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় আবুল হোসেন প্রধান শিক্ষক ও আজিজুল ইসলাম অফিস সহকারী হিসাবে নিয়োগ পেয়ে দায়িত্ব পালন করতে থাকে। ২০১০ সালে অফিস সহকারী আজিজুল ইসলামের ভায়রা আবু সুফিয়ান বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভাপতি নির্বাচিত হন। আবু সুফিয়ান সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর পরেই সুকৌশলে তার ছোট ভায়রা অফিস সহকারী আজিজুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন।
পরবতীতে পুরো বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়। মামলায় উভয় পক্ষ পাল্টা-পাল্টি রায় পায়। এরইমধে কয়েক বার চেষ্টা করে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসতে ব্যর্থ হয় আজিজুল ইসলাম। এমাবস্থায় মঙ্গলবার সকালে অফিস সহকারী আজিজুল ইসলাম নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবী করে বিদ্যালয় গিয়ে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনের উপর হামলা চালায়। এ সময় প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এ সংর্ঘষে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সহকারী শিক্ষক আইনুল হক, শিক্ষার্থী লাভলু, আতিকুর, মমিনুর রহমান, স্থানীয়দের মধ্যে একাব্বর রহমান,আমির হোসেন,অপর পক্ষের অফিস সহকারী আজিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম সহ উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাবু মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করান।
প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, তিনি ওই বিদ্যালয়ের বৈধ প্রধান শিক্ষক। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় বিদ্যালয়ের আসবাপত্র ভাংচুর ও গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্রাদি তারা নিয়ে গেছে।
অপর দিকে প্রধান শিক্ষকের দাবীদার অফিস সহকারী আজিজুল ইসলাম জানান, তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে আদালত তার পক্ষে রায় দিয়েছে। কিন্তু আবুল হোসেন অবৈধ ভাবে চেয়ার দখল করে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দার জানান, প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনেই ওই বিদ্যালয়ের বৈধ প্রধান শিক্ষক।
ছবি ক্যাপশন- বিদ্যালয়ে হামলায় ভাংচুরের স্থানীয় জনতার ভীর একাংশ।
অপর দিকে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here