কাজী শাহ্ আলম হাতীবান্ধা ,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া গ্রামের অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে দৃষ্টি- প্রতিবন্ধি হাসিনা খাতুন। দরিদ্রতা ও অন্ধত্ব বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তার সাফল্য অর্জনে। সে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে অংশগ্রহণ করে জিপিএ- ৩.০৮ অর্জন করেছে। কিন্তু অর্থাভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে তার লেখাপড়া। তিনি একজন গায়িকা। গান গেয়ে যথসামান্য অর্থ উপার্জনে চালাতো লেখাপড়া। তার বাবা শাহেদ আলী একজন দিনমজুর ও মা সাফিয়া বেগম গৃহিণী। ৬ ভাই বোনের মধ্যে সে ৪র্থ। হাসিনা খাতুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ প্রতিবন্ধিদের লেখাপড়া করার ক্ষেত্রে বেল পদ্ধতির আবিস্কার করেন। ওই বেল পদ্ধতির মাধ্যমেই তার লেখাপড়া শুরু। বেসরকারী সংস্থা আরডিআরএস’র লালমনিরহাট হাড়িভাঙ্গা অফিসের সহযোগিতায় দরগারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে ৫ম শ্রেণি পাশ করেন। পরে লালমনিরহাট চার্চ অফ গর্ড স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে অত:পর এসএসসি পাশ করেন। এসএসসিতে তার অর্জিত জিপিএ- ৩.৮১। এরপর জেলার হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হন। সেখানে মোবাইল রেকডিংয়ের মাধ্যমে লেখাপড়া শিখে এইচএসসি পাশ করেন। ৩ বছর বয়সে টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টি শক্তি হারায় হাসিনা। বর্তমানে তার মাথা ধরা, গ্যাস্টিক ও দুঃশ্চিন্তায় মাঝে মাঝে অসুস্থ্য হয়ে পরে। তার পরও লেখাপড়া করে সে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। কিন্তু অর্থাভাবে তার লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে জানান হাসিনা খাতুন।
হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন লাভলু জানান, হাসিনা দৃষ্টি- প্রতিবন্ধি হলেও শ্রবণ শক্তি প্রখড়। শুনে যে কোন বিষয়ে অল্প সময়ে আয়ত্ব করতে পারেন। তিনি দৃষ্টি- প্রতিবন্ধি হাসিনার জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা গুলোর সহায়তা কামনা করেন।
খবর৭১/এসঃ