খবর৭১: কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাশকতা ও মানহানির দুই মামলায় জামিনের আবেদন শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২২ মে) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পর বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২১ মে) এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে রোববার (২০ মে) কুমিল্লার দু’টি ও নড়াইলের একটি মামলায় জামিন আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সোমবার ওই কোর্টের কার্যতালিকায় দুটি আবেদন ওঠে। এ দুই আবেদন শুনানির জন্য ডাকার পর অ্যাটর্নি জেনারেল প্রস্তুতির জন্য সময় চান। এরপর আদালত দুই আবেদনের শুনানির জন্য মঙ্গলবার আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় করাগারে।
ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। যেটি গত বৃহস্পতিবার (১৭ মে) বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
কিন্তু তার আইনজীবীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্তত আরও ছয়টি মামলা রয়েছে; যেগুলোতে জামিন পেলে কেবল তিনি মুক্তি পেতে পারেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি ও নড়াইলে একটি রয়েছে। বাকিগুলো ঢাকার।
এর আগে রোববার (২০ মে) সকালে ছয়টির মধ্যে তিনটি মামলার জামিন আবেদনের হলফনামা করতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নেন তারা। এরপর সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় আইকন পরিবহনের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন আরও ২০ জন। সেসব ঘটনায় দু’টি মামলা করা হয়।