বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দায় হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীদের ১০টি দোকান গুড়িয়ে দিয়ে একটি দখলবাজ চক্র সেখানে রাতারাতি পাকা ইমারত নির্মান করে ৪টি পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পক্ষে গতকাল বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রায়েন্দা বাজারের সালেহ আহম্মেদ গাজী।
রায়েন্দা বাজারের ৪টি পরিবারের যাতায়াতের বন্ধ পথ খুলে দেয়াসহ সেখানের পাকা ইমারত ভেঙ্গে দেয়ার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সালেহ আহম্মেদ গাজী জানান, ১৯৭০ দশকে তাদের রেকর্ডীয় জমির মাটি কেটে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩৫/১ বেড়ীবাঁধ স্থাপন করে। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে জলাশয় ইজারা নিয়ে কিছু অংশ বালি ভরাট করে যাতায়াতের পথসহ মাছ চাষকরে আসছিলেন। বিগত ২০১৩ সালে তৎকালিন শরণখোলা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কে এম মামুনউজ্জামান তাদের ইজারা নেয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে কিন্ডাগার্ন্টেন স্কুল নিমার্ন করেন। এতে করে আমারা কয়েকটি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি। এই অবস্থায় পানি উন্নয়ন বের্ডের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াসহ বাড়ীতে যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করি। হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এমতাবস্থায় শরণখোলা সরকারী কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক সুভাস চন্দ্র দাসের নেতৃৃত্বে একটি দখলবাজ চক্র হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেখানে ব্যবসায়ীদের ১০টি দোকান গুড়িয়ে দিয়ে রাতারাতি পাকা ইমারত নির্মান করেছে। পাকা ইমারত নির্মানের ফলে এর পিছনে বসবাসকারী ৪টি পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে তারা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।