হলি আর্টিজান মামলার রায় সন্ত্রাসীদের জন্য একটা ম্যাসেজ

0
500
হলি আর্টিজান মামলার রায় সন্ত্রাসীদের জন্য একটা ম্যাসেজ’

খবর৭১ঃ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম হলি আর্টিজান মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এতো স্বল্প সময়ে এমন একটি চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা বিশ্বে বিরল। এটা সন্ত্রাসীদের জন্য একটি ম্যাসেজ।’ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বহির্বিশ্বে দেখা যায় এ সকল অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীরা গ্রেফতার না হয়ে নিহত হয়ে যায়। কাউন্টার টেররিজম তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করেছে। এটা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা পুলিশ বাহিনীর একটি বড় সাফল্য।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জঙ্গিদের হলি আর্টিজানে হামলা ছাড়াও আরো হামলার পরিকল্পনা ছিল। তারা আরো হামলার পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। কাউন্টার টেররিজম ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কল্যাণপুরে এক আসামিকে গ্রেফতার করে হলি আর্টিজান মামলার ফাউন্ডেশন খুঁজে পায়। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি বিরোধী এক অভিযানে মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী নিহত হন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নব্য জেএমবির নেতৃত্বে আসা অনেকে নিহত হয় এবং অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে রূপনগরের অভিযানে একজন মাস্টার ট্রেইনারও নিহত হয়।

হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা মামলার তদন্তটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তখনো নবাগত এই ইউনিটটি প্রযুক্তিগতভাবে ভালো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। শুধুমাত্র দেশপ্রেম, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এই চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্ত শুরু করেছিল কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

বহুল আলোচিত গুলশানে হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা মামলায় ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ওই বছরেই গঠিত হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।’

তিনি আরও বলেন, ‘হলি আর্টিজানে হামলার সঙ্গে জড়িত ২১ জনের মধ্যে সরাসরি জড়িত ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নিহত হন ৮ জন। ৬ জনকে জীবিত গ্রেফতার করা হয় এবং পলাতক দুই জনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here