হবিগঞ্জে মোটরসাইকেলও চলতে দিচ্ছে না ‘বেপরোয়া’ শ্রমিকরা

0
283

মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে সারাদেশের সাথে সিলেটেও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শ্রমিকদের কর্মবিরতি। দ্বিতীয় দিনে এসে পরিবহন শ্রমিকরা আরোও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। তারা মোটরসাইকেলও চলতে দিচ্ছেনা।বাহুবলে মোটরসাইকেল অারোহীকে নামিয়ে তাদের সাথে বাজে আচরন করছে। চলতে দিচ্ছে না রিকশা।পাশাপাশি রিকশা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে বাধ্য করছে পরিবহন শ্রমিকরা।এতে জনগণের ভোগান্তির মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।শ্রমিকদের অ্যাকশনের কাছাকাছি দূরত্বে পুলিশ অবস্থান করলেও তাদেরকে কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। বরংচ পুলিশ বলছে জানেন না অবরোধ তাহলে এগুলি নিয়ে রাস্তায় বের হন কেন।
বাস, সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় এমনিতেই সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে। তার উপর রিকশাসহ ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল না করতে দিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।এছাড়া সোমবার সকাল ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ,বাহুবল,শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটকে দেয়া হয়েছে পত্রিকার গাড়ীও।এর আগে রবিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতির ডাক দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। ৮ দফা দাবিতে তাদের এ কর্মবিরতির ফলে সিলেটে সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে কোন বাস ছেড়ে যায়নি।
গতকাল হবিগঞ্জের কালার ডোবায় সাংবাদিক নজরুল ইসলাম তালুকদারের ওপর হামলা করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে ও সাইকেলে থাকা পত্রিকার বান্ডিল পানিতে ফেলে দেয় তারা। রবিবার এই ঘটনা ঘটে।নজরুল ইসলাম হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের বাণীর বানিয়াচং উপজেলা প্রতিনিধি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহর থেকে মোটরসাইকেলযোগে পত্রিকা নিয়ে বানিয়াচঙ্গে যাচ্ছিলেন। পথে কালার ডোবার যাত্রীর ছাওনীর কাছে একদল শ্রমিকের কবলে পড়েন। একপর্যায়ে তাকে দেখে শ্রমিকরা তেড়ে আসে। এ সময় নজরুল ইসলাম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হন। এ সময় শ্রমিকরা তাকে মারধর করে মোটরসাইকেলে থাকা পত্রিকা পানিতে ফেলে নষ্ট করে।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা করান। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেক মোবারক জানান, বিষয়টি শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কাউকে পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here