হবিগঞ্জে বাহুবলে চা ল্যকর শিশু নাঈমা হত্যাকান্ডের মূল প্ররোচণাকারী এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

0
230

মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে চা ল্যকর শিশু নাঈমা হত্যাকান্ডের মূল প্ররোচণাকারী এখনও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনমনে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। জানা যায়, গত বছরের ৯ আগষ্ট উপজেলার সোয়াইয়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার কন্যা, সোয়াইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী নাঈমা আক্তারের লাশ বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রায় ১ মাস পর ৬ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা ফরিদ মিয়া বাদি হয়ে তারই ভাই-ভাতিজাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে বাহুবল থানা পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের এক পর্যায়ে গত ১৩ জুলাই মামলার বাদি ফরিদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এরপর ফরিদ মিয়া পুলিশ ও অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ফরিদ মিয়া পুলিশ ও আদালতকে জানান, তার ভাই শুকুর মিয়া ও ভাতিজাদের সাথে জমি-জামা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ভাই ও ভাতিজাদেরকে ঘায়েল করতে কতিপয় মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচণায় এবং সাজন নামে এক ব্যক্তির সহযোগিতায় নাঈমাকে হত্যা করেন তিনি। এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন পত্রিকায় ফরিদ মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, নির্মম এ হত্যাকান্ডের মূল প্ররোচণাকারী এখনও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফরিদ মিয়ার প্রতিবেশি ‘স’ আধ্যক্ষরের ওই ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী অফিসের দালালী, প্রতারণাসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। মূলত তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচণায়ই ফরিদ মিয়া এমন জঘন্য অপকর্ম করতে সাহস পেয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী, শিশু নাঈমা হত্যার ন্যায় বিচারের স্বার্থে ফরিদ মিয়ার নিকটতম প্রতিবেশি ‘স’ আধ্যক্ষরের ওই প্ররোচণাকারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরী।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here