হবিগঞ্জে গউছ অধ্যায়ের যবনিকাপাত

0
682

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ পৌরসভা মানেই মেয়র গউছ। ব্যাপক উন্নয়ন আর জনপ্রিয়তার কারণে টানা তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি পৌরবাসীর কাছে এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন- গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে কারাগারে থেকেও জয় পেয়েছেন। গেল ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য পৌরসভার মেয়র পদ থেকে অব্যাহতি নেয়ায় মেয়র পদটি শূন্য হয়।
সোমবার (২৪ জুন) মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মিজানুর রহমান মিজান নৌকা প্রতীকে জয় লাভ করে গউছের মসনদে আসীন হয়েছেন। তবে এ নির্বাচনে জি.কে গউছ অংশগ্রহণ করেননি। প্রার্থী ছিলেন পাঁচ জন। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগের চার নেতা ও একজন বিএনপির।
সূত্র জানিয়েছে, ২০০৪ সালে বিএনপি যখন সরকার ক্ষমতায় তখন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি.কে গউছ পৌরসভায় নির্বাচন করে প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তারপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ২০১১ সালের পৌরসভার নির্বাচনে জি.কে গউছ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এসময় বেশি দিন চেয়ারে বসে থাকতে পারেননি। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামী হয়ে যেতে হয় কারাগারে।
শেষ পর্যন্ত আসে ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচন। কারাগারে থেকে হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানকে হারিয়ে জয় লাভ করে আলোচনায় ওঠে আসেন গউছ। এবার তার চেয়ারে বসলেন মিজান।

এদিকে এবারই প্রথম হবিগঞ্জ পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই শেষ হয়েছে ভোট। বিকাল ৬টা থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু করে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টির দিকে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদের উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার খুরশেদ আলম জানান- ২০ কেন্দ্রের ফলাফলে ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ১৩ হাজার ২০১ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট নিলাদ্্রী শেখ টিটু ( নারিকেল গাছ) পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৭ ভোট।
মেয়র পদে অন্যান্য প্রার্থীরা ভোট পেয়েছেন মো. মর্তুজ আলী (চামচ) ৩৯০ ভোট, সৈয়দ কামরুল হাসান (জগ) ৮৮৫ ভোট, এম. ইসলাম তরফদার তনু (মোবাইল) ১ হাজার ৪৭ ভোট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here