খবর ৭১ঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া ডিসি রোডে গুলিতে যুবলীগকর্মী ফরিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১১ মাসের ঘুমন্ত শিশু বেলাল ও তার দাদি জাহানারা বেগম। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বেলালের বাবার নাম মো. সুমন। তিনি চকবাজার বাকলিয়া ডিসি রোড কলোনির কফিল উদ্দিন জমিদারের ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক।
তিনি বলেন, শিশু বেলালের মাথার তালুর এক পাশে ও পায়ে গুলি লেগেছে। তার দাদি জাহানার বেগমও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ১নম্বর ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের গুলি বের করার চেস্টা করছে চিকিৎসকরা।
বেলালের বাবা সুমন বলেন, গতকাল বিকেলে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনি। আমরা তখন বাসায় ছিলাম। এসময় আমার বাচ্চা তার দাদির কোলে ঘুমাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর দেখি তাদের শরীরে রক্ত। তারা চেতনাহীন ছিল। পরে বুঝতে পারি আমার মা ও বেলালের গায়ে গুলি লেগেছে। এ সময় তাদের দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এগারো মাসের শিশু কেন সন্ত্রাসের শিকার হলো এ প্রশ্ন রেখে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকায় ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কতিপয় সন্ত্রাসী যুবলীগ কর্মী ফরিদুল ইসলামকে বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এ সময় সুমনের মা ও শিশু সন্তান গুলিবিব্ধ হয়।
চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল হুদা এ প্রসঙ্গে বলেন, জাহানারা বেগম ও শিশু বেলাল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে তারা চাইলে মামলা করতে পারেন।
খবর ৭১/ইঃ