হঠাৎ সৌদি গিয়ে কী কথা বললেন মাহমুদ আব্বাস?

0
339

খবর ৭১:জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ঘোষণা নিয়ে মুসলিম বিশ্ব চরম ক্ষুব্ধ। ওআইসির জরুরি বৈঠক ডেকে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই ইস্যুতে এক প্রকার নীরব ভূমিকা পালন করছে সৌদি আরব। এমনকি ওআইসির ওই বিশেষ বৈঠকে সৌদি আরবসহ কয়েকটি মুসলিম দেশের উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

কিন্তু ট্রাম্পের ওই ঘোষণার এক মাস না যেতেই বুধবার রিয়াদ সফরে যান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। সফরে সৌদি বাদশা সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন তিনি। কিন্তু বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে?

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল আরাবিয়া বলেছে, বৃহস্পতিবার মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌদি যুবরাজ। এতে ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে কিভাবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, যেটা ফিলিস্তিনিদের বৈধ অধিকার, প্রতিষ্ঠা করা যায় তার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দেল আল-জুবায়ের ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান খালেদ আল হুমাইদান এবং ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার সৌদি বাদশা সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন আব্বাস। সেখানে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা বলেন বাদশা।

সৌদি সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের দাবি অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সৌদি আরবের সমর্থনের পুনঃনিশ্চয়তা দেন সৌদি বাদশা সালমান।

রিয়াদে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কয়েকজন রাজপুত্র এবং ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাদশা সালমানের পরবর্তী উত্তরাধিকারী মোহাম্মাদ বিন সালমান। মূলত তিনিই বর্তমান বাদশাকে যাবতীয় পরামর্শ দিচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে নভেম্বর মাসেও রিয়াদে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিন সালমান। আর এর এক মাস পরই ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন এবং তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here