হঠাৎ ডিপ্লোম্যাটিক এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা, মোড়ে মোড়ে তল্লাশি

0
363

খবর৭১ঃ রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়া গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার বিশেষ এলাকা ও স্থাপনায় একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জাতীয় যেকোনো দিবসের মতো ২৬ মার্চ উপলক্ষে গুলশান ও ডিপ্লোম্যাটিক এলাকাসহ ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এছাড়া সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ হামলাসহ বিভিন্ন দেশে সহিংসতার বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, ২৬ মার্চ ও পহেলা বৈশাখসহ প্রতি জাতীয় দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সে অনুযায়ী ২৬ মার্চ উপলক্ষে ডিপ্লোম্যাটিক এলাকাসহ ঢাকা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, ২৬ মার্চ উপলক্ষে কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বে কয়েকটি সহিংসতার ঘটনায় এবার একটু বাড়তি সতর্কতা থাকছে। গুলশান ক্লাবেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও জানায়, রবিবার ভোর থেকে কূটনৈতিক পাড়া এলাকায় বিভিন্নস্থানে তল্লাশি চৌকি বাড়ানো হয়েছে। সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে সিসি ক্যামেরা সচল রাখাতে বলা হয়েছে। সেখানে অতিথিদের সম্পর্কে পুলিশকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব ও বিদেশি দূতাবাসগুলো ঘিরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোশতাক আহমদ বলেন, নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী ঘটনার পর নিয়মিত নিরাপত্তার পাশপাশি পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। আবার ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। নিরাপত্তায় এ দিনটিও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

গুলশান ক্লাব সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ক্লাবের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ব সতর্কতার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশের সতর্কতা অনুযায়ী ক্লাবের মাঠে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সুনির্দিষ্ট হুমকি থাকার কারণে নিরাপত্তা জনিত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অভিজাত এলাকা ও কূটনৈতিক এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি জোরদার করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা জোরদার ও গোয়েন্দা নজরদারি চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী। এরপর শনিবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির দুটি গ্রামে গুলি করে অন্তত ১৩৪ পশুপালককে হত্যা করা হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here