সড়কটির সর্বত্রই পিচ, ইট, খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্তের ॥ প্রতিদিনই ঘটছে নানা দূর্ঘটনা

0
339

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর)প্রতিনিধি  : যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছাবাসীর জেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটির এখন করুনদশা। বছরের পর বছর মেরামত না করার ফলে দীর্ঘ সড়কটির কোথাও এখন আর ভাঙ্গতে বাকি নেই। সড়কের উপরের পিচ খোয়া ইট উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। উপজেলা সদর থেকে চুড়ামানকাটি হাইওয়ে সড়ক পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক এজনপদের মানুষের কাছে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে নানা দূর্ঘটনা। চৌগাছাবাসী অবিলম্বে জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামত বা পূনঃনির্মানের জোর দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, চৌগাছা উপজলাবাসীর যশোর জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি এ জনপদের মানুষের কাছে এখন মরণফাঁদ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। উপজেলা সদর থেকে চুড়ামনকাটি হাইওয়ে সড়ক পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কের প্রতিটি জায়গার ইট বালু খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এ কারনে প্রতি দিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে নানা দূর্ঘটনা, বিকল হয়ে পড়ছে যাত্রীবাহি বাসসহ পন্যবাহি পরিবহন। চৌগাছা ৫০ শয্যা হাসপাতাল সংলগ্ন সড়কের উপর কালভার্টটি দীর্ঘ দিন ভেঙ্গে পড়ে আছে। এই ভাঙ্গা কালভার্ট এর উপর দিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করলেও নির্মিত হচ্ছেনা কালভার্টটি। এলাকাবাসির প্রশ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এর চেয়ে আর কত বেশি ভাঙ্গলে সংশ্লিষ্ঠদের দৃষ্টিগোচর হবে ? সূত্র জানায়, যশোরের চৌগাছা ভারত সীমান্তের গা ঘেষা একটি উপজেলা। নানা দিক দিয়ে এ উপজেলার গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষি, শিক্ষা স্বাস্থ্য, ব্যবসা বানিজ্যে অন্য যে কোন উপজেলার তুলনায় চৌগাছা অনেক দুর এগিয়ে অভিমত বিশ্লেষকদের। সময়ের ব্যবধানে এই উপজেলায় গার্মেন্টস শিল্পের মত বড় শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য ছোট বড় শিল্পের কারনে অনেকে চৌগাছাকে শিল্প নগরীর সাথে তুলনা করেন। চৌগাছাবাসীকে বিশ্ব দরবারে আরও পরিচিত করেছেন শহীদ জিয়ার হাতে গড়া দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ তুলা গবেষনা ও বীজবর্ধন খামার। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে প্রদি দিনই এখানে নানা শ্রেনী পেশার মানুষ ছুটে আসেন খামারটি এক নজর দেখার জন্য। চৌগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতাল মা ও  শিশু সেবায় দশবার  দেশ সেরার   গৌরব অর্জন করেন। এরফলে প্রতি দিন অত্র উপজেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী যশোর সদর, ঝিকরগাছা, ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর কোটচাঁদপুর, কালিগঞ্জ উপজেলার শতশত মানুষ এই হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বাস্থ্য সেবা গ্রহনের জন্য। সূত্র জানায়, যশোর হতে চৌগাছা উপজেলার দুরাত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। এ কারনে চাকুরীজীবি থেকে শুরু করে নানা শ্রেনী পেশার মানুষ নিজ বাড়ি থেকেই নিয়মিত অফিস সহ ব্যবসা বানিজ্যের কাজ করেন। চৌগাছা উপজেলাবাসির জেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে চৌগাছা-যশোর সড়ক। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির করুনদশার কারনে আজ জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে। সড়কটিতে নিয়মিত বাস চালক নজরুল ইসলাম জানান, আমি প্রায় ২৬ বছর ধরে এই সড়কে বাস চালায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির মত সমস্যা এর আগে আর কখনও দেখেনি। এখন নিয়মিত এই সড়কে ৪ থেকে ৫ দিন বাস চালালে সেই বাস আর চলানোর উপযোগী থাকে না বিধায় টিপ বন্ধ করে ওই বাসকে নিয়ে যেতে হয় গ্যারেজে। হাসপাতাল সংলগ্ন ভাঙ্গা ব্রীজের উপর দূর্ঘটনার কবলে পড়া চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের বাসিন্দা ইলিয়াস হোসেন বলেন, এই সড়কে আমি আজ প্রথমে এসেছি। আর আমার ভাগ্য এতটাই খারাপ যে আমিই পড়লাম দূর্ঘটনার কবলে। কলেজ ছাত্র ইমরান হুসাইন বলেন, সড়কটির বেহাল দশার কারনে আমরা পায়ে হেটে পর্যন্ত চলতে পারিনা। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ঠ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন এ জনপদের মানুষ।

খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here