স্বৈরাচারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ কেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদের

0
287

খবর৭১: উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যোগ্যতা অর্জনের পর স্বৈরাচারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিআরটিসি’র বিশেষ যাত্রীসেবা উষা সার্ভিস, উত্তরা সার্কুলার সার্ভিস ও অফিস যাত্রী সার্ভিসের উদ্বোধন শেষে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

‘বাংলাদেশ একনায়কতান্ত্রিক শাসনের অধীনে এবং এখানে গণতন্ত্রের নূন্যতম মানদণ্ড নেই’- শিরোনামে জার্মান গবেষণা সংস্থা বেরটেলসম্যান স্টিফটুং এর প্রতিবেদনের বিষয়ে সেতুমন্ত্রীর কাছে জানতে চান গণমাধ্যম কর্মীরা।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে নতুন করে একই বক্তব্য রাখতে হবে, এটারতো কোনো মানেই নেই। তবে আমি এটা বুঝি যে মুহূর্তে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রমের স্বীকৃতি দিলো, সেই সময়ে এ রিপোর্ট কেন? এটা আমার প্রশ্ন।’

অবৈধ ক্ষমতা দখলের দিন গতকাল শনিবার জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ উদযাপনকে কীভাবে দেখছেন-জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা তো নিবন্ধিত, বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশে এ সকল বিষয় ‍নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে লাভ নেই।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার শক্তি হিসেবে আমরা যাকে বলি, স্বৈরাচার পতনের কয়েক মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে এরশাদ সাহেব পাঁচ সিটে (আসন) বিজয়ী হয়েছিলেন। তারা তো নির্বাচন করে আসছে, এখন সংসদে বিরোধী দল হিসাবে আছে। বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের সভা-সমাবেশ নতুন কিছু নয়। এখন সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করার পর কেন প্রশ্ন আসবে।’

আওয়ামী লীগ তো এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছিলো, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ সমাবেশ আপনাদের খারাপ লেগেছিলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশের আরও খারাপ লাগার বিষয় আছে। সেগুলোতো হজম করে যাচ্ছি।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, গণহত্যা দিবস যারা পালন করবে না, তারা পাকিস্তানের সমর্থক। পাকিস্তান এ গণহত্যার দায় স্বীকার করে নাই, ক্ষমা চায় নাই, অনুতাপ প্রকাশ করেনি। সেই পাকিস্তানের বন্ধুরাই এ দিবস পালন করবে না, সেটাই স্বাভাবিক। এদেশে যারা সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক তারা পাকিস্তানের বন্ধু। যারা এ গণহত্যা দিবস পালন করছে না, তারা পাকিস্তানের বন্ধু, দোসর।

২৩টি নতুন রুটে ৬৫টি গাড়ি চালু করা হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকেও তিনটি রুটে বিআরটিসির ১০টি গাড়ি যাবে। দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় বিআরটিসির অনেকগুলো গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। সে রকম ১২০টি গাড়ি চালু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আপতত ভারত থেকে ৫০০ ট্রাক, ২০০ ডাবল ডেকার এবং ১০০ নন-এসি গাড়ির আনার বিষয়ে অচিরেই টেন্ডার হবে। আশা করছি, আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এ সকল বাস বিআরটিসির বহরে যুক্ত হবে।

এ সকল গাড়ি আনা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিলো, আমরা বৈঠকের পর বৈঠক করেছি। কোয়ালিটির বিষয়ে আমাদের কিছু কিছু কোয়ারি ছিলো, তাতে ভারতও একমত হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here