স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম লজ্জাজনক: ফখরুল

0
301

খবর ৭১: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম আসা খুবই লজ্জাজনক।

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে দলের মহাসচিব এ কথা বলেন।

জার্মান ভিত্তিক একটি গবেষণায় ‘স্বৈরতন্ত্রের’ তালিকায় বাংলাদেশ নাম যুক্ত হওয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা এত দিন ধরে যে কথাগুলো বলছিলাম আজকে তা বিশ্বে স্বীকৃত হয়েছে। এই গবেষণার মধ্য দিয়ে আমাদের বক্তব্যের প্রতিফলন হয়েছে।’

গত বৃহস্পতিবার জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেরটেলসমান স্টিফটুং এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই তালিকায় নতুন করে পাঁচটি দেশ ‘একনায়কতান্ত্রিক’ দেশের তালিকায় ঢুকেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এই প্রতিবেদন গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশসহ ওই পাঁচটি দেশ গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণ করছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যালোচনা চলাকালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মৌলবাদীদের হামলা সংঘটিত হতে দেখা গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জার্মান একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ভিত্তিতে বিবিসি অনলাইন একটি নিউজ ছাপিয়েছে, যেটা আজ সব পত্রিকায় এসেছে। পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নিম্নের দিকের পাঁচটি দেশের অন্যতম একটি। যেখানে গণতন্ত্র বিদায় নিয়েছে এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই গবেষণায় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যারা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম তারা অত্যন্ত লজ্জাবোধ করছি।’

সরকার স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে বাংলাদেশকে আজ এই অবস্থায় নিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

যৌথসভায় আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি ৭৮টি সাংগঠনিক জেলায় বিএনপির ৩৭টি দল সফর করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তাঁর জামিন স্থগিতের নিন্দা জানানো হয় বিএনপির যৌথ সভায়। সভায় দলের চেয়ারপারসনসহ সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও করা হয়।

মির্জা ফখরুল জানান, আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের ৭৮ সাংগঠনিক জেলা সফর করবে বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সেই লক্ষ্যে ৩৭টিম গঠনের কথাও জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘এসব টিম সাংগঠনিক জেলাগুলোতে সভা-সমাবেশ ও কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবে। তবে সভা-সমাবেশ জেলাগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে ২৯ মার্চ সভার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি নিয়ে যাবেন বিএনপির প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে তার সাথে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিরোধী দলকে তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়ার অনুরোধ করা হবে। প্রতিনিধি দলে থাকবেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, বরকত উল্লাহ বুলু, গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী, আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here