স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে সিফডিয়ার পুষ্টিবিষয়ক সেমিনার

0
334

মো. আব্দুল বাছিত
সিফডিয়া, সিলেট:
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. নূরুল ইসলাম বলেছেন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে কৃত্রিমভাবে ফল পাকানো একটি ভয়াবহ পদ্ধতি। কার্বাইড শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি, কিডনির ক্ষতিসাধনসহ নানা ধরনের রোগবালাইয়ের সৃষ্টি করে। এজন্যে ফল পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহারের পরিবর্তে কাঁচা ফলের সাথে দুয়েকটি পাকা ফল রেখে প্রাকৃতিক ইথাইলিন প্রয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ অপরিহার্য। ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে কৃত্রিমভাবে ফল পাকানো বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।
সিলেট সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড মাস মিডিয়া (সিফডিয়া)-এর উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে একক বক্তার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা: সবার জন্য সর্বত্র’ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এ শ্লোগানকে ধারণ করে ‘কৃত্রিমভাবে ফল পাকানোর কুফল ও প্রতিকার, সুস্থ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভাস’ শীর্ষক সেমিনার গত রোববার কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহ সভাপতি সাংবাদিক গল্পকার সেলিম আউয়াল।
সিলেট এক্সপ্রেসের স্টাফ রিপোর্টার তাসলিমা খানম বীথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বশিরুদ্দিন, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা জুলকার নায়েন। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিফডিয়ার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ আব্দুর রশীদ, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রাবন্ধিক মাওলানা শামসীর হারুনুর রশীদ। অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উপস্থিত দর্শকবৃন্দ। সেমিনারে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের কার্যকরী পরিষদ সদস্য ফজলুল করিম আজাদ, ভিন্নধারা সম্পাদক জাহেদুর রহমান চৌধুরী, কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, সিফডিয়ার নির্বাহী পরিচালক রোটারিয়ান আবদুল মুহিত দিদার, ঔপন্যাসিক আলেয়া রহমানসহ সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
ড. নূরুল ইসলাম আরো বলেন, শরীরকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর ও সতেজ রাখতে পারলে জীবন হয়ে ওঠে আনন্দময়। এজন্য শরীরের সঠিকভাবে পরিচর্যার পাশাপাশি খাদ্যাভাসেও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। শরীরের ভয়াবহতা ডেকে আনে এমন খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা একান্ত প্রয়োজন। শরীরকে সতেজ রাখতে পরিমিত খাবার গ্রহণের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানের দিকে মনোযোগী হতে হবে। অতিমাত্রায় খাবার গ্রহণ এবং খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় শরীর ভয়াবহতার দিকে ধাবিত হয়।

 

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here