খবর ৭১ঃ কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ১৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার।
১০ মার্চ, রবিবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ১২ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত মনোনীত করা হয়েছে।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), আ ক ম মোজাম্মেল হক, শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডা. কাজী মিসবাহুন নাহার, আব্দুল খালেক (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে (মরণোত্তর) এ পদক দেয়া হচ্ছে।
চিকিৎসা সেবায় মনোনীত হয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নূরুন্নাহার ফাতেমা বেগম। সমাজসেবা ও জনসেবায় মনোনীত হয়েছেন পল্লী সহায়ক কর্ম ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।
সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন মর্তুজা বশীর। গবেষণায় পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক ড. হাসিনা খাঁন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকেও দেয়া হচ্ছে স্বাধীনতা পদক। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মনোনীত স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৯’-এর পদক তুলে দেয়া হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর গুণী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দিয়ে আসছে সরকার। এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৭ সালে সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’তে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের অর্থ বৃদ্ধি করে।
আগে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে এক লাখ টাকা দেওয়া হত। অর্থ বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়।