স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আওয়ামী লীগের ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলমসহ ৯জনের মনোনয়ন পত্র জমা

0
217

মো. আবু সাইদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নওগাঁ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নওগাঁ জেলা কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. আখতারুল আলম। বুধবার মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষদিনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি ধামইরহাট উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর হাতে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে রিটানিং কর্মকর্তার অফিস থেকে বেরিয়ে এসে তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও আমাকে মনোনয়ন বি ত করা হয়েছে। তৃণমুলে আমার কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে তা দেখানোর জন্যই আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জাতীয় সংসদের নওগাঁ-২ আসনটি ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত। এ আসনের বর্তমানে সংসদ আলহাজ¦ মো. শহীদুজ্জামান সরকার। তিনি বর্তমানে জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপি’র প্রার্থী আব্দুর রউফ মান্নানকে পরাজিত করে ১ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি’র প্রার্থী মো. সামসুজ্জোহা খাঁনকে পরাজিত করে ২য় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩য় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত এক দশক থেকে ক্ষমতায় থাকার কারণে কতিপয় নেতৃবৃন্দের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে স্থানীয় সূধীমহলে তার বিরুদ্ধে বিরুপ মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি দলের অনেক ত্যাগী নেতা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে যার প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। নওগাঁ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম নির্বাচন করলে বর্তমান সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারকে বেশ বেগ পেতে হবে বলে আশংকা করছেন এলাকার সচেতন শিক্ষিত মানুষ।

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে নওগাঁ-২ আসনের জন্য সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার নিকট ইতিমধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার, আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক জেলা সভাপতি মো. সামসুজ্জোহা খাঁন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মো. আব্দুর রউফ মান্নান, জাতীয় পার্টির ধামইরহাট উপজেলার সহ-সভাপতি মো. বদিউজ্জামান, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন, জাকের পার্টির ধামইরহাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এম, জে, এ আর ফারুক ও মো. মতিবুল ইসলাম বুলু। এদের মধ্যে সামসুজ্জোহা খাঁন ও খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী দুজনেই বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। খাজা নাজিবুল্লাহ গত এক দশক ধরেই বিএনপি’র দলত্যাগি কিছু নেতাকে সাথে নিয়ে মনোনয়ন লাভের চেষ্টা করে আসছিলেন। অন্যদিকে সামসুজ্জোহা খাঁন তিন বারের সংসদ সদস্য হওয়ায় তৃণমূলে রয়েছে তাঁর শক্ত অবস্থান। তবে এই দুজনের মধ্যে কে হবেন ধানের শীষের কান্ডারী তা ৯ডিসেম্বরের পরই জানা যাবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নেতাকর্মীদের মাঝে দলীয় মনোনয়ন পত্র সরবরাহের পর থেকেই পত্নীতলার সর্বত্রই চলছে এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। ভোটাররা প্রার্থী হিসাবে কাকে ভোট দিবেন সেটিই এখন তাদের আলোচনার বিষয়। নওগাঁ-২ আসনে যদি শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থেকেই যায় তবে বিএনপি’র পালেই হাওয়া লাগবে এমনটাই মনে করছেন এলাকায় সুধী মহল।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here