সোনালী ট্রফি কার, ফ্রান্স নাকি ক্রোয়েশিয়ার?

0
354

খবর ৭১: বিশ্বকাপের বিদায়ী বাজনা বাজছে। ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত। সবার মুখে এখন লাখ ডলারের প্রশ্ন- কার হাতে উঠবে অতি আরাধ্য সোনালী ট্রফি? ফ্রান্স নাকি ক্রোয়েশিয়ার? তাহলে কি নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ? এবারের বিশ্বকাপ হচ্ছে তাক লাগানো বিশ্বকাপ। পরিসংখ্যান বলছে, এমন বিশ্বকাপ আগে দেখেনি কেউ। ঘটন-অঘটন আর চমকে একবারে ঠাসা। কীভাবে? কেমন করে? তাহলে একটু খোলাসা করা যাক।

গ্রুপ পর্বেই আগের বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিদায়। এ আর নতুন কী? সাবেক চ্যাম্পিয়নদের শুরুতেই পা হড়কানো তো হালের ‘ফ্যাশনে’ পরিণত হয়েছে। গত চারটি বিশ্বকাপের তিনটিতেই তো ঘটেছে এমন অঘটন। আগের আসরের সেমিফাইনাল খেলা চার দল এবারের সেমিফাইনালে নেই। আগেও তো বারদুয়েক এমনটি হয়েছে। অবশ্য ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ হলো তার সর্বশেষ উদাহরণ। ইতালিকে ছাড়া বিশ্বকাপ কেমন বেমানান। সেই উদাহরণও তো আছে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের দিকে তাকান। তাহলে আলাদা কী এমন ঘটল এবারের বিশ্বকাপে ? আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইতালি, জার্মানি- এই চার দলের একটিও শেষ চারে নেই, এমনটি কি আগে কখনও ঘটেছিল? না, ঘটেনি। অথচ এবার দেখুন, বাছাই পর্বেই ইতালি বাদ। জার্মানি বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্বে। আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত টিকে ছিল। বড় বাজির আরেক ঘোড়া ব্রাজিলের দৌড় থেমে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেই হিসাবে নতুন ইতিহাস লেখা হলো রাশিয়া বিশ্বকাপে। মনে রাখতে হবে, এই চারটি দলই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। শুধু তাই নয়, ২০টি বিশ্বকাপের ১৫টি শিরোপা কিন্তু এদেরই দখলে!

অঘটন তো গেল, এবার চমকের খাতাটা খুলে বসা যাক। এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমকের নাম ক্রোয়েশিয়া। এর আগে তারা আর কখনও ফাইনালে ওঠেনি। বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠা ১৩ তম দল ক্রোয়েশিয়া। অথচ সেমিফাইনালের আগে ইংলিশ মিডিয়া তো তাদের ‘ক্লান্ত’ অ্যাখ্যা দিয়ে ইংল্যান্ডকে মোটামুটি ফাইনালিস্ট বানিয়েই ছেড়েছিল। তবে কথাটার মধ্যে কিন্তু অন্যরকম একটা সত্য লুকিয়ে আছে। নকআউট পর্ব শুরুর পর টানা তিনটি ১২০ মিনিটের ম্যাচ খেলে ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। কতটা আত্মবিশ্বাসী হলে এমনটা করা সম্ভব! তার চেয়েও বড় কথা বিশ্বকাপের ইতিহাসে আগে আর কখনও এই ঘটনা ঘটেনি। আরেক ফাইনালিস্ট ফ্রান্স এখন রুশ বিপ্লবের দেশে ‘ফরাসি বিপ্লব’ ঘটানোর অপেক্ষায়। তবে একটা বিপ্লব কিন্তু তারা এরই মধ্যে করে ফেলেছে। সেটা হলো, তারুণ্যের বিপ্লব। দলটির খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২৬ বছর ১ মাস। ( শুধু নাইজেরিয়া দলটির এর চেয়ে কম, তাদের গড় বয়স ২৫ বছর)। ১৯ বছরের কিলিয়ান এমবাপ্পে হলেন ফ্রান্স দলের তারুণ্যের প্রতীক।

গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন (৬ গোল)। ৪ গোল নিয়ে তার পেছনে আছেন বেলজিয়ামের লুকাকু। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আকর্ষণ তাই এখনও শেষ হয়ে যায়নি। কারণ লুকাকু যদি দুই গোল বা তার চেয়েও বাড়তি কিছু করে বসে! এই দুজনের পেছনে আছেন ( ৩ গোল করে) ফ্রান্সের গ্রিজম্যান ও এমবাপ্পে। তবে ফাইনালে ‘হ্যাটট্রিক’ করা তো ছেলেখেলা ব্যাপার নয় বাপু। গোল্ডেন বলের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদরিচ এবং ফ্রান্সের আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। তবে বেলজিয়ান অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ড এই লড়াইয়ের আরেক জোরালো দাবিদার। সবচেয়ে জমে উঠেছে সোনালি গ্লাভসের লড়াই। জোরালো দাবিদার তিন জন। ক্রোয়েশিয়ার দানিয়েল সুবাচিস, ফ্রান্সের হুগো লরিস আর বেলজিয়ামের থিবো কোর্তেয়া। এদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেওয়া আসলেই কঠিন ব্যাপার।

এবার একটু পেছন ফিরে তাকানো যাক। আসরের প্রথম সেমিফাইনালে বেলজিয়াম এক গোলে হেরেছে ফ্রান্সের কাছে। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ২-১ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ফ্রান্স আবারও সেরা ফল ছোঁয়ার অপেক্ষায়। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জিদানের ফ্রান্স। আর ক্রোয়েশিয়ারও হারানোর কিছু নেই। এরই মধ্যে তারা বিশ্বকাপে তাদের সেরা ফলটি অর্জন করে ফেলেছে। ১৯৯৮ সালে তৃতীয় হয়েছিল দলটি। ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই ১৯৬৬ সালে, আর এবার শেষ চারে উঠেছিল ২৮ বছর পর। আর বেলজিয়ামের তো সেরা ফলই ১৯৮৬ সালের আসরে চতুর্থ হওয়া। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে শেষ দুটো দল। কোয়র্টার ফাইনালে জয়ী ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ে। ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল আরেক বিজয়ী বেলজিয়াম। সুইডেনের সঙ্গে জেতে ইংল্যান্ড। আর রাশিয়া টাইব্রেকারে হেরে যায় ক্রোয়েশিয়ার কাছে। শেষ ষোলতে ওঠা বাকি আটটি দল হলো : আর্জেন্টিনা, স্পেন, পর্তুপাল, জাপান, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো ও কলম্বিয়া।

এবারের বিশ্বকাপ আসর শুরু হয় ১৪ জুন, রাশিয়া বনাম সৌদি আরব ম্যাচের মধ্য দিয়ে। প্রথম রাউন্ডে আটটি গ্রুপে অংশ নেয় মোট ৩২ টি দল। ফাইনাল পর্যন্ত মোট ম্যাচের সংখ্যা ৬৪টি। বাকি আছে আর মাত্র দুটো খেলা। ১৪ জুলাই সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আর ১৫ জুলাই মস্কো (লুঝনিকি) স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল।

ফুটবলকে ঘিরে কত রণকৌশল। প্রতিপক্ষকে নাকাল করতে কোচদের কতই না জটিল পরিকল্পনা। ফুটবল মাঠ যেন দাবার ছক। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপ বলছে অন্যকথা। সেট পিসে সরে এসেছে ফুটবল। কর্নার, ফ্রি-কিক, পেনাল্টি অর্থ্যাৎ সেট পিসে গোল হয়েছে অনেক। প্রথম সেমিফাইনালে তো বেলজিয়ামকে এই সেট পিসেই ঘায়েল করে জয় তুলে নিয়েছে ফ্রান্স। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল পর্যন্ত ১৬১ গোলের মধ্যে ৭০টিই হয়েছে সেট পিস থেকে। শতকরা হিসেবে যা মোট গোলের ৪৩ ভাগেরও বেশি। আর ইংল্যান্ড তো তাদের ১২টি গোলের মধ্যে ৯টিই পেয়েছে সেট পিস থেকে। বিশ্বকাপ নিয়ে পরিসংখ্যান আর তথ্যের তো বলতে গেলে শেষ নেই। এবারের আসরকে ঘিরে বাছাই করা কিছু তথ্য তুলে ধরা যাক :

এক. এবারের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়া দলগুলোর নামের দিকে একটু ভালো করে খেয়াল করেছেন। প্রতিটি ম্যাচের ক্ষেত্রেই একটি দলের নাম লিখতে ৬টি ইংরেজি অক্ষরের প্রয়োজন হয়, অন্যটির নাম লিখতে লাগে ৭টি অক্ষর। (বিশ্বাস না হলে নিজে একবার কষ্ট করে লিখে দেখুন)। এদিকে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলোও হয়েছে আবার ৬ ও ৭ জুলাই। কী ভীষণ কাকতাল !

দুই. সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর এবারই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল রাশিয়া।

তিন. ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপেই অন্তত একটি কোয়ার্টার ফাইনাল টাইব্রেকারে গড়িয়েছে।

চার. কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে আত্মঘাতী গোল করেছেন ব্রাজিলের ফার্নান্দিনহো। এজন্য বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকিও পেয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ তাকে ‘বানর’ বলতেও ছাড়েনি।

পাঁচ. দুইটি হলুদ কার্ড পাওয়ার পরও ফাইনালে খেলবেন ফান্সের এমবাপ্পে। এটা কী করে সম্ভব? ফিফার নিয়ম অনুযায়ী এক ম্যাচ বহিষ্কার হওয়ার কথা তার। সব ঠিকই আছে। ফিফার এই নিয়ম পরিবর্তন হয়ে যায় যখন খেলা শেষ ধাপে চলে আসে। সেমিফাইনাল পর্যায়ে এসে ফিফা খেলোয়াড়দের আগের সব হলুদ কার্ড তুলে নেয়। যাতে এত দূর আসার পর কোনো খেলোয়াড় ফাইনাল খেলার সুযোগ মিস না করে।

ছয়. বিশ্বকাপের ইতিহাসে টাইব্রেকারে সর্বোচ্চ চারটি শট ঠেকানো তৃতীয় খেলোয়াড় ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ। প্রথম দুজন হলেন যথাক্রমে পশ্চিম জার্মানির হ্যারল্ড শুমাখার এবং আর্জেন্টিনার সার্জিও গয়কোচিয়া।

সাত. অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার বিশ বছর পূর্তিতে কোচ হিসেবেও একই অর্জনের হাতছানি ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশমের সামনে।

আট. মাঠে উপস্থিত থেকে, ড্রেসিং রুমে গিয়ে খেলোয়াড়দের সাহস আর সমর্থন জুগিয়ে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচ পরিচিতি পেয়েছেন দলটির দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে!

নয়. কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে জিতে জয়টি ইউক্রেনকে উৎসর্গ করেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার দোমাগয় ভিদা ও সহকারী কোচ ভুকোয়েভিচ। ভিদা অল্পতেই ক্ষমা পেয়ে গেলেও ভুকোয়েভিচকে ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করেছে ফিফা। আর ক্রোয়েশিয়া দল তাকে বহিষ্কার করে ফেরত পাঠিয়েছে দেশে। এদিকে ইউক্রেন ফুটবল ফেডারেশন দাঁড়িয়েছে ভুকোয়েভিচের পাশে। চাকরির প্রস্তাবের পাশাপাশি জরিমানার অর্থটাও দিতে চেয়েছে তারা।

দশ. সর্বশেষ তিনটি বিশ্বকাপেই ইউরোপীয় দলের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। এবারও তাই। তবে টানা সপ্তম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলল ব্রাজিল।

এগারো. রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোটে তৈরি করা ফুটবল। ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপেই ফুটবল গেছে সেখান থেকে। অ্যাডিডাসের কাছ থেকে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফুটবল ‘টেলস্টার ১৮’ তৈরির স্বত্ব পেয়েছে পাকিস্তানের ফরওয়ার্ড স্পোর্টস।

বারো. রাশিয়া বিশ্বকাপে অন্যরকম একটি রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মানুষ। ফ্রান্স-বেলজিয়াম সেমিফাইনালটি টাইমস স্কয়ারে বড় পর্দায় দেখিয়েছে ফক্স স্পোর্টস। পর্দাটা ছিল রেকর্ড পরিমাণ বড়। উচ্চতা ৭৮ ফুট আর ৩৩০ ফুট চওড়া। এই পর্দাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মেগা-জিলা’।

তেরো. এবারের ফাইনালে উঠেছে ৪২ লাখ মানুষের দেশ ক্রোয়েশিয়া। ১৯৫০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২২ লাখ জনসংখ্যার দেশ উরুগুয়ে।

চৌদ্দ. বেলজিয়ামকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর এই জয় থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে থাকা কিশোর ফুটবল দলকে উৎসর্গ করেছেন ফ্রান্সের মিডফিল্ডার পল পবগা। টুইটারে ওই ১২ কিশোরের ছবি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ এই জয়টা আজকের নায়কদের জন্য। অসাধারণ, তোমরা মানসিকভাবে অনেক শক্ত।’ আর ফিফার পক্ষ থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য রাশিয়ায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই ক্ষুদে ফুটবলারদের। তবে চিকিৎসকদের ছাড়পত্র না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত হয়ত রাশিয়া যাওয়া হবে না তাদের।

যাই হোক, এবার জমজমাট এক ফাইনাল অপেক্ষা করছে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য। ক্রোয়েশিয়া এখন পুড়ে খাঁটি হওয়া স্বর্ণ। ছোট্ট দেশটি বড় স্বপ্ন দেখছে। সোনালি ট্রফিটা পেতে সর্বস্ব উজাড় করে দেবে লড়াকু দলটি। আর ফ্রান্স আরেক বার ট্রফিটা ছুঁতে একদম মুখিয়ে আছে। অনেকে তো খাতা-কলমে তাদেরকেই এগিয়ে রাখছে। তবে অগ্রিম কিছু বলা বড্ড বোকামি হবে। কারণ দল দুটো হলো ফ্রান্স আর ক্রোয়েশিয়া। রাশিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সমালোচনায় সরব ছিল পশ্চিমা বিশ্ব। সফল আয়োজনের পর দেশটির অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে যেসব ভয় দেখানো হচ্ছিল, সেগুলো কেবল মিথ্যাই প্রমাণিত হয়নি, বাস্তবে দেখা গেছে একবারে উল্টো।’ এটুকু বলেই তিনি থেমে থাকেননি, সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমরা সবাই রাশিয়ার প্রেমে পড়ে গেছি। আমরা যারা এখানে কিছুদিন আছি, এমন একটা দেশকে আবিষ্কার করেছি, যাকে আমরা জানতাম না।’

বিশ্বকাপে শেষ আট থেকে বিদায়ের যন্ত্রণা ভুলে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে ব্রাজিলকে পরামর্শ দিয়েছেন কিংবদন্তি পেলে। টুইটারে তিনি বলেন, ‘সব পথচলাই লক্ষ্যে গিয়ে শেষ হয় না। কিন্তু প্রতিটি পথচলাই নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে। চলুন, আমরা সেই অভিজ্ঞতা দিয়েই ভবিষ্যতের কথা ভাবতে শুরু করি।’ মিলনমেলার শেষদিন ১৫ জুলাই কে চ্যম্পিয়ন হবে কে জানে? তবে একটা কথা কমবেশি সবাই জানে, ১৬ তারিখ থেকে কেমন যেন খালি-খালি লাগবে। এটাই জীবন, এটাই বাস্তবতা। এটাই সত্য, এটাই অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাই হয়ত ভবিষ্যতে পথ চলতে আমাদেরকে অনেক ভাবে সাহায্য করবে। ফুটবলের মূল সৌন্দর্য আর আসলে শিক্ষা সেখানেই।
খবর ৭১/ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here