সোনালী আঁশের , সোনার দেশ পাট পন্যের বাংলাদেশ

0
307

মোঃ আমিনুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ:
পাটকে বলা হয় সোনালী আশ তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশের সিংহ ভাগ রপ্তানী আয় আসতো পাট থেকে। কিন্তু কালের বিবর্তনে ও সরকারী পৃষ্ঠ পোষকতার অভাবে আমাদের দেশে পাটের সেই জৌলস আর নেই।
তৎকালীন জামায়াত –বিএনপি সরকার পাটের গুরুত্ব অনুধাবন না করেই ঋনের
দায়ে ও ভর্তুকির ভারে আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয় । যা কিনা পাট শিল্পের কবর রচনা করার মত আত্মঘাতী কাজ ছিলো। তারা পারতো পাটকে রক্ষার জন্য , পাটের ব্যবহারিক দিককে বিশেষায়িত করে প্রসস্ত করা। কিন্তু তারা মাথা ব্যাথা সাড়াতে গিয়ে মাথাই কেটে ফেলেছিল।

স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাটকল গুলোকে জাতীয় করন করে ন্নে এবং পাটকে গুরুত্ব দিয়ে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নেন । ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা করার পর কোন সরকারই পাটকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারজাত করন করতে পারে নাই।
কিন্তু ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে পাটকে গুরুত্ব দেয়া শুরু করেন ও পাটের বহুবিধ ব্যবহারকে উৎসাহিত করেন । তারই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জের বন্ধ করে দেয়া কওমী জুট
মিলকে জাতীয় জুট মিল নামে চালু করেন । এই কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সম্মানিত জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবীবে মিল্লাত মুন্না। এখন এই মিল লাভের মুখ দেখেছে এবং কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষের।
পুর্বে পাট থেকে শুধু মাত্র সুতা , চট , বস্তা , কার্পেট তৈরী হলেও বর্তমানে বিভিন্ন রকম অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন- ঢেউটিন, স্কুল-ভ্যানিটি ব্যাগ, টিস্যু পেপার, জানালার পর্দা, গাড়ির সিটের কভার ,শাড়ি ইত্যাদি।

পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও অপচনশীল পলিথিন ব্যাগকে অনেক আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু ব্যবহার বন্ধ হয় নাই । এই জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। এবারের পাট দিবসে আমাদের শ্লোগান হোক-
পলিথিন করবো বর্জন- করবো পাটের ব্যবহার।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here