সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মারবদী গ্রামে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার রাতে মামলা দায়ের করার পর ওই রাতেই এক নারী ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার গ্রেফতারকৃত নারী ইউপি সদস্যকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ফিরোজ আহাম্মেদ বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো সামসুল হক ওরফে সামু ডাকাত, দেলোয়ার হোসেন, আক্তার হোসেন, রফিক মিয়া, শাহ জাহান মিয়া, মজিবুর রহমান, নুরু মিয়া, বাদল মিয়া, কামাল হোসেন, সোহেল মিয়া, আজহারুল ইসলাম, ওসমান মিয়া, গণি মিয়া, বক্কর মিয়া, লুৎফা আক্তার, আবু মিয়া। মামলা দায়ের করার পর সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লুৎফা আক্তারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মামলার বাদী ফিরোজ আহাম্মেদ জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সামু ডাকাত, দেলোয়ার হোসেন ও আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে আমার দুই ভাইকে পায়ের রগ কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়। তিনি বলেন, মামলার না করার জন্য সন্ত্রাসীরা আমাদের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মারবদী গ্রামে গত রবিবার বিকেলে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল। এতে একজনের হাত ও পায়ের রগ কাটা সহ উভয় পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছিল। আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক।
খবর ৭১/ ই: