সোনারগাঁও(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে গতকাল সোমবার ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ১১ জন শ্রমিককে আটক করেছে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিএম রুহুল আমিন রিমন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের প্রত্যেককে কারাদন্ড দেন।
জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের ছেলে মোহাম্মদ উলাহ ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন সহ তার শ্বশুর প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট করে দীর্ঘ দিন ধরে আনন্দ বাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে তীর ঘেষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। খবর পেয়ে গতকাল সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিএম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে মনির হোসেন, হয়রত আলী, সুমন মিয়া, শহিদুলাহ মিয়া, রাজু মিয়া, রাসেল মিয়া, কামাল মিয়া, সোহাগ মিয়া, সোহেল মিয়া, সেলিম মিয়া ও জাহিদ মিয়াকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত আটককৃত প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে ড্রেজারে কর্মরত শ্রমিকরা আটক হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছেন ইসমাইল মেম্বার ও চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের ফেলে মোহাম্মদ উলাহ। দ্রæত মূল হোতাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ উলাহ ও ইসমাইল হোসেন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নন বলে দাবি করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বি এম রহুল আমিন রিমন বলেন, মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৫ দিনের করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। কাউকে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।
খবর৭১/জি: