সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ গত রবিবার রাতে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাফুরদী গ্রামের বিন্নিপাড়া এলাকায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলা ও রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া হ্যান্ডকাপ নিয়ে পলাতক আসামী তাইজুদ্দিনের পকেট থেকে ১ শত পিছ উদ্ধার করার ঘটনায় উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রবিবার রাতে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাফুরদী গ্রামের বিন্নিপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে যান সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক তাহিদুউল্লাহ কনষ্টেবর রাব্বিসহ তিন পুলিশ। এসময় তাইজুদ্দিন নামের কথিত এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পরে, পুলিশ তাইজুদ্দিনকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। বাধার এক পর্যায়ে এলাকাবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে উপ-পরিদর্শক তাহিদুউল্লাহসহ তিন পুলিশকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানার অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাহিদুউল্লাহ, কনস্টেবর রাব্বি মিয়াসহ তিন পুলিশকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় সোনারগাঁও থানা পুলিশ ওই এলাকায় বিভিন্ন বাড়ীঘরে তল্লাসী চালিয়ে মোগরাপাড়া ইউপির ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান, জাকির হোসেন, সোয়েব ও পারভেজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে মজিবুর মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, পুলিশের হাতে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী তাইজুদ্দিনের পকেট থেকে পাওয়া ১শত পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাইজুদ্দিনকে প্রধান আসামী করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
খবর৭১/এস: