জহিরুল ইসলাম মৃধা,সোনারগাঁও(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি: ”ও মা ফাগুনে তোর আমের বনের ঘ্রানে পাগল করে মরি হায় হায়রে” বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাতীয় সংগীতের সেই আমের বনের ঘ্রাণে সারা বাংলার সাথে ঐতিহাসিক প্রাচীন নগরী ঈশা খাঁ’র রাজধানী খ্যাত সোনারগাঁওয়ে প্রতিটি এলাকায় মৌ মৌ করছে। গাছে গাছে মুকুলে ভরে গেছে সোনারগাঁওয়ের আম ও লিচু বাগান। আম লিচুর মুকুলে মৌমাছির গুনগুনানী, প্রজাপতির রঙিন ডানায় ভর করে কৃষকের ঠোটে ভেসে ওঠছে মধুর হাসি। প্রয়োজনীয় সার-কীটনাশকসহ বাগান পরিচর্যার মাধ্যমে ফলন বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষীরা।
সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এ বছর আম-লিচুর মুকুল অনেক বেশী। বাগান মালিক এবং সংশ্লিস্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবার সোনারগাঁওয়ে আম ও লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছে। প্রেমের বাজার পূর্বপাড়ার লিচু চাষী আমির হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে আম ও লিচুর ভালো ফলন হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে সবাই লাভবান হবেন।
সোনারগাঁও পৌরসভার গাবতলী, দিঘিরপাড়, বালুয়াদিঘির পাড়, গোয়ালদিসহ সনমান্দি, মোগরাপাড়া, বৈদ্যের বাজার বারদী, সাদিপুর ও জামপুরে রয়েছে আম ও লিচুর বাগান। অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ার প্রতিবছরই বাগানের সংখ্যা বাড়ছে।
ভট্টপুরের লিচুচাষী শাহজালাল জানান, সোনারগাঁও কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করছেন
কৃষি কর্মকর্তা আশেক পারভেজ জানান, এ বছর সোনারগাঁওয়ের প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে আম ও ১০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এ থেকে উৎপাদন আসবে প্রায় ২.৫ হাজার টন আম ও ৬-৮ শত টন লিচু। এ অ লের লিচুর মধ্যে কদমি ( বোম্বাই ), চায়না থ্রি, বেদেনা, এলাচি ও পাতি লিচু উলেখযোগ্য। আমের মধ্যে রয়েছে আমরূপালী, ল্যাড়া, সিন্দুর ও কাঁচামিঠে।
খবর৭১/জি: