সৈয়দপুরে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনী কাঠামোর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

0
259

মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহর পর্যায়ে সমন্বয় কমিটির সদস্যদেরকে নিয়ে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনী কাঠামোর ওপর এক ওরিয়েণ্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড্ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশন বাস্তবায়িত ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্পের আওতায় ওই ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করা হয়। (বৃহস্পতিবার) সৈয়দপুর শহরের পৌরসভা সড়কের আদিবা কনভেনশন সেন্টারে ওই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকার সভাপতিত্ব করেন।
ওরিয়েন্টেশনটি পরিচালনা করেন ওয়াটার এইড্ বাংলাদেশ প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন কান্তি নাথ।
ওরিয়েন্টেশনের অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড্ বাংলাদেশ এর হেড অব প্রোগ্রাম আফতাব ওপেল ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসকেএস এর ডাইরেক্টর মো. সাইফুল ইসলাম, ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্পের প্রজেক্ট সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম তপাদার প্রমূখ ।
উক্ত ওরিয়েন্টেশনে সৈয়দপুর শহর পর্যায়ে সমন্বয় কমিটির মোট ৫৫ জন্য সদস্য-সদস্যা অংশ গ্রহন করেন।
ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রকল্পটি দাতা সংস্থা সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সীস (সিডা) এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায়, দেশীয় সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্পটি লক্ষ্যিত জনগোষ্ঠীর ওয়াশ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু সহি ু ওয়াশ সেবা প্রাপ্তির জন্য কাজ করছে। এতে করে দরিদ্র মানুষের ওয়াশ বিষয়ক দূর্ভোগ কমাবে। পাঁচ বছরমেয়াদী (২০১৮ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) প্রকল্পটি স্থানীয় সরকারের অন্যান্য সেবার সাথে ওয়াশ বিষয়ক সেবা ও সমন্বয় সাধনে কাজ করছে। এছাড়াও প্রকল্পটি পৌর শহর কেন্দ্রিক গরীব জনগোষ্ঠীর ওয়াশ বিষয়ক অধিকার ও সেবার মান উন্নয়নে, এ্যাডভোকেসির মাধ্যমে নীতিমালা ও কৌশল পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। তাছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু সহি ু ওয়াশ সেবা বৃদ্ধির মাধ্যমে ওয়াশ ব না কমাতে কাজ করছে। মূলত প্রকল্পটি জলবায়ু সহি ু, স্থায়ীত্বশীল ওয়াশ সেবা ও স্বাস্থাভ্যাস নিশ্চিতকরণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করছে। এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দ্যেশ্য দ্বিতীয় প্রজন্মের স্যানিটেশর চ্যালেঞ্জ তথা মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ পৌরসভার নেতৃত্বে সম্পন্ন করা। ফলে পৌর শহরের ১ লাখ ৫০ হাজার জনগণের বছরে প্রায় ৩২ হাজার ৫ শ’ টন মানব বর্জ্য এবং ১৭ হাজার ৫শ’ টন গৃহস্থালী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কো-কম্পোস্ট উৎপাদন করবে। যা পরিবেশের জন্য সহায়ক হবে। এর ফলে এই শহরের জনগণ পানি ও বায়ুবাহিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here