সৈয়দপুরে গরু-মহিষের শিং ও হাড় দিয়ে বোতাম তৈরির একটি কারখানা পরিদর্শন করলেন দুদক কমিশনার

0
399

মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরের পাশের দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দেবীগঞ্জে অবস্থিত গরু-মহিষের শিং ও হাড় দিয়ে বোতাম তৈরির একটি কারখানা পরিদর্শন করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে তিনি অ্যাগ্রো রিসোর্স কোম্পাান লিমিটেড নামের ওই বোতাম তৈরির কারখানাটি পরিদর্শন করেন।
বিকেলে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ওই কারখানা পরিদর্শনে এলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন মো. নজরুল ইসলাম তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান ও রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (অতিরিক্ত) মো. আব্দুল করিম, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া, দুদক কমিশনার (তদন্ত) এর পিএস সৈয়দ রবিউল ইসলাম, নীলফামারী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মোতালেব এবং সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ওই বোতাম তৈরির কারখানা বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে ঘুরে উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী হাতে নিয়ে প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় তিনি কারখাানায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তাদের বিষয়ে ভালমন্দ খোঁজ খবর নেন। দুদক কমিশনার (তদন্ত) কারখানা পরিদর্শন করে কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের আকষর্ণীয় ডিজাইন, নকশা ও গুনগতমান দেখে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কারখানা মালিকের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পরবর্তীতে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দৈনিক করতোয়ার স্থানীয় প্রতিনিধির কাছে বোতাম তৈরির কারখানা বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। গরু-মহিষ জবাইয়ের পর সাধারণতঃ এর মাথার শিং ও হাড় হাড্ডি ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু ফেলনা ওই সব শিং ও হাড় সংগ্রহের মাধ্যমে তা প্রক্রিয়াজাত করে মানুষের পরণের পোষাকের বোতাম তৈরি বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এতে করে আমাদের বাংলাদেশে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। অজোপাড়া গাঁয়ের এ বোতাম তৈরির কারখানাটি আমাদের দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে উল্লেখযোগ ভুমিকা রাখছেন। তিনি বলেন এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান সরকারি সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা পেলে আরও বেশি বশি পণ্য উৎপাদনে সক্ষম হবে। আর সব পণ্য বিদেশে রপ্তানির করে আগামীতে আরো বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here