মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহর থেকে চুরি যাওয়া দুটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দরেরবাজার এলাকার কালা কসাইয়ের বাড়ি থেকে গরু দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। থানা পুলিশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা গরু বহনকারী নছিমন চালককে আটকের পর ওই গরু উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় গতকাল রবিবার সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আটক নছিমন চালক সামিউল খানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের ক্যান্টবাজার এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (৪৫)। তাঁর বিদেশী জাতের দুটি গাভী গত শুক্রবার উপজেলা শ্রম দপ্তর অফিস সংলগ্ন বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে চুরি যায়। গরুর মালিক অনেক খোঁজাখুজির পরও চুরি যাওয়া গরুর সন্ধান না পেয়ে স্থানীয় থানায় ঘটনাটি অবগত করেন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ থানায় স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে সিসি ক্যামেরার দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ দেখতে পায় দুইজন লোক একটি নছিমনে করে দুটি গরু ঢেলাপীরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নছিমনের চালকের চেহারা স্পষ্ট না হলে পুরো নছিমনের আকার আকৃতি ভালভাবে সনাক্ত করা হয়। এর পর পুলিশ নছিমনের খোঁজে নামেন। পরবর্তীতে গত শনিবার বিকেলে সৈয়দপুর থানার এক উপ-পরিদর্শক নীলফামারী যাওয়ার পথে নীলফামারী বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় বিপরীত দিক থেকে গরু নিয়ে অনুরূপ একটি নছিমনকে আসতে দেখেন।
সেটি দেখে তার সন্দেহ হলে নছিমনের পিছু নেয় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকায় ওই নছিমনের গতিরোধ করে আটক করা হয় চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দরবাজার পাঠান পাড়া এলাকার মৃত. হাবিবুর খানের পুত্র নছিমন চালক সামিউল খানকে (৪০)। পওে তার স্বীকারোক্তি মতে একই এলাকার মাংস ব্যবসায়ী কালা কসাইয়ের (৪৫) বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া গরু দুটি উদ্ধার করা হয়।
তবে এ সময় কালা কসাই সটকে পড়ায তাকে আটক করা যায়নি। পরে গরুসহ নছিমন ও চালক সামিউলকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রবিবার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশার সাথে কথা বললে তিনি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সনাক্তের মাধ্যমে চোরাই গরু উদ্ধার এবং নছিমন চালক সামিউল খানকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান এ ঘটনায় আটক সামিউলের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। পরে থানায় মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ