সৈয়দপুরে ইরি বোরো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন কৃষকরা

0
1066

মিজানুর রহমান মিলন ,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইরি বোরো ক্ষেত পরিচর্যায় অতি ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন কৃষকরা। মাঠে মাঠে একেবারে কৃষকরা কোমর বেঁধে চাষাবাদে নেমে পড়েছেন। তাই কৃষকদের ইরি- বোরো ক্ষেতেই সকাল থেকে পুরো দিন গত (সময় পার) হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৬ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে ইরি- বোরো ধানের চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। তন্মধ্যে রয়েছে উফশী জাতের ৫ হাজার ৩২৫ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমি। আর উল্লিখিত পরিমাণ জমিতে ইরি – বোরো ধান চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩২২ হেক্টরে।এরর মধ্যে ছিল উফশী জাতের ২৬৬ হেক্টরে এবং হাইব্রিড জাতের ৫৬ হেক্টরে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩৭০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। এবাওে শীত মৌসুমে শৈত্যপ্রবাহ এবং তীব্র শীত না পড়ায় ইরি- বোরো বীজতলারও কোন ক্ষতি হয়নি। কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলতঃ জানুয়ারী মাসের শুরু থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জমিতে ইরি- বোরা চারা লাাগনো উপযুক্ত সময়। এ সময়ের মধ্যে জমিতে চারা রোপন করতে পারলে ভাল ফলন মিলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবাওে উপজেলার কৃষকরা ব্রিধান- ২৮, ২৯, ৫৮, ৬৩, ৭৪ ও হাইব্রিড জাতের ধান আবাদের দিকে বেশি বেশি ঝুঁকেছেন।
সেচ নির্ভর ইরি – বোরো চাষাবাদের একেবারে ভর মৌসুম চলছে এখন। ইতিমধ্যে জমিতে ইরি-বোরোর চারা লাগানোর কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। তাই বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের যে দিকে চোখ যায় মাঠের পর মাঠ শুধু সবুজ আর সবুজ ইরি -বোরোর উঠতি ধান ক্ষেত। যেন সবুজের সমরোহ। বর্তমানে রবিশস্য আলু, সরিষা, গম ছাড়া কোথাও এবার এক চিলতে জমি খালি নেই। আর তাই এখন কৃষকদের রোপন করা ইরি- বোরোর উঠতি ধান ক্ষেতের পরিচর্যার কাজ চলছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা কেউ কেউ উঠতি ইরি- বোরো ধান ক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ আবার ডিজেল কিংবা বিদ্যূৎচালিত সেচ মেশিনের সাহায্যে পানি দিচ্ছেন, কেউবা ইউরিয়া ও অন্যান্য সার প্রয়োগ করছেন। আর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া সম্পূর্ণভাবে অনুকূলে থাকায় কৃষকদের লাগানো ইরি-বোরো ধানের চারাও বেশ লকলকিয়ে বেড়ে উঠছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ইউএও) কৃষিবিদ মোছা. হোমায়রা মন্ডল জানান, কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা ইরি- বোরো চাষাবাদের বিষয়ে কৃষকদের পাশে থেকে সার্বক্ষণিক সব ধরনের পরামর্শ প্রদান করছেন। আর পুরো রোপন মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন দেখা না দিলে এবাওে উপজেলায় ইরি- বোরা আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here