সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
সৈয়দপুরে ইপিজেড কর্মী এক তরুণীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে শহরের উত্তরা আবাসন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের এ ঘটনায় তরুণীর বাবা বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছে। ধর্ষিতা ওই তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার আরজি ও এলাকাবাসীর সূত্র জানায়, উত্তরা আবাসনের এলাকার বাসিন্দা শুকুর আলীর পুত্র মো. সবুজ (১৮) গত রবিবার রাতে তার কর্মস্থলের বিষয়ে জানতে কিছু কথা রয়েছে বলে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে ফুসলিয়ে পৌর এলাকার পূর্ব বোতলাগাড়ী দোলাপাড়া মজিবর রহমানের পুত্র মোজাহারুল ইসলাম বেঙ্গুর (২৯) বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে থাকা মোজাহারুল ও সবুজ ওই কর্মীকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গভীর রাতে দুই ধর্ষক ধর্ষিতা ওই তরুণীকে আবাসন এলাকায় ছেড়ে দেয়। পরদিন সোমবার ওই তরুণী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করে একটি মহল। কিন্তু ধর্ষকের বিচার দাবিতে ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন অনড় থাকলে দুই ধর্ষক লোকজন নিয়ে আবাসন এলাকায় মিমাংসার জন্য আসে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী বুধবার রাতে তাদের আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা সুলতান আলী বুধবার রাতেই বাদি হয়ে দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা করেছে। জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা জানান, অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতাল ও গ্রেফতার দুইজনকে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ