সেলফি তোলায় হত্যার হুমকি পেলেন মিস ইরাক

0
550

খবর ৭১:বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় মিস ইসরাইলের সঙ্গে সেলফি তোলায় সপরিবারে হত্যার হুমকি পেয়েছেন মিস ইরাক সারাহ ইদান।

নিরাপত্তার খাতিরে প্রতিযোগিতা ছেড়েই পরিবারসহ দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন এ ইরাকি সুন্দরী। খবর: এনডিটিভির।

সেলফিটি ইরাকসহ আরব দেশগুলোতে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তিনি কমেন্টে একের পর এক হত্যার হুমকি পেতে থাকেন।
পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।

১৪ নভেম্বর মিস ইউনিভার্স ২০১৭ প্রতিযোগিতার যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে মিস ইসরায়েল অ্যাডার গ্যান্ডেলসম্যানের সঙ্গে সেলফি তোলেন মিস ইরাক সারাহ ইদান।
ছবিটি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করে সেখানে লেখেন, ‘মিস ইরাক ও মিস ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শান্তি ও ভালোবাসা।’

আরব বিশ্বে ইসরায়েলের বৈরী আচরণের ক্ষুব্ধরা এ সেলফি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। সেলফিটি সবার রুচিসম্মত নয় লিখে অনেকে টুইট করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ‌সারাহকে এ ছবি মুছে ফেলতে ও প্রতিযোগিতা ছেড়ে দেশে ফিরে আসতে বলেছেন। অন্যথায় তাকে সপরিবারে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসাদ আবুখালিল নামে একজন অধ্যাপক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ইরাক সুন্দরী মনের খুশিতে দখলদার ও নির্মমতা সুন্দরীর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন!

গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিস ইসরায়েল অ্যাডার গেন্ডেলসম্যান বলেন, সেলফিটি ছাড়াও বিকিনি পরার কারণে সারাহকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

সেলিফির প্রতিক্রিয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে সারাহ বলেন, ‘ছবি পোস্ট করা মানে এই নয় যে, আমি ইসরায়েলের সরকারকে সমর্থন করছি এবং আরব বিশ্বের প্রতি তাদের রীতিনীতিগুলো মেনে নিচ্ছি।’

তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে টুইট করেন, আমি একাই ইরাকি নারী নই যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। লাখ লাখ ইরাকি নারী প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

প্রসঙ্গত, আমেরিকার লাস ভেগাসে মিস ইউনিভার্স ২০১৭ প্রতিযোগিতার আয়োজন চলছে। সে উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরী প্রতিনিধিরা একসঙ্গে হয়েছেন।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here