খবর৭১ঃএছাড়াও রিটে রাজনৈতিক জোটের মাধ্যমে যেসব প্রার্থী নিজ দলের প্রতীক না নিয়ে অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং অন্য দলের প্রধানের ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন, তাদের নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। এদিন শুনানিও হতে পারে।’
নির্বাচন আচরণবিধির ৭(৩) ও (৪) উপবিধি উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়েছে, রাশেদ খান মেনন ঢাকা-৮ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন এবং তার মনোনয়নপত্র বৈধও ঘোষণা করা হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টি সম্পর্কে এতে বলা হয়, দলটি নিবন্ধিত এবং এর দলীয় প্রতীক হচ্ছে ‘হাতুড়ি’। কিন্তু সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা রাশেদ খান মেননকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনকৃত প্রতীক ‘নৌকা’ বরাদ্দ দেয়। সেই নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের পোস্টার ছাপিয়ে সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন, যা সংবিধান ও আরপিওর লঙ্ঘন।
নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির ৭ এর ৩ উপবিধিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৬০ পুরণ ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার সাদা-কালো রঙের অনধিক ৩ পুরণ ১ মিটার হতে হবে এবং পোস্টার বা ব্যানারে প্রার্থী তার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে পারিবেন না’।
একই বিধির ৪ উপবিধিতে বলা হয়েছে, ‘উপবিধি (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে সেইক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপাইতে পারিবেন’।
আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, কিন্তু রাশেদ খান মেনন বিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার, লিফলেট, ব্যানারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির ছবি ব্যবহার করে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট চাচ্ছেন।
নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা প্রভাবশালী। তাদের বিশাল কর্মীবাহিনী রয়েছে। ফলে নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের মতো যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি আইনশৃঙ্খলারও অবনতি ঘটতে পারে।
তাছাড়া ঢাকা-৮ আসনটি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে সুপ্রিম কোর্ট, সচিবালয়, মন্ত্রিপাড়া, বাণিজ্যিক এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল রয়েছে। তাই এ আসনে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।’
রিটে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতা কেন অসংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং ৩০০ নির্বাচনী আসনে সেনাবাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- মর্মে রুলও চাওয়া হয়েছে।
আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চৌদ্দ দলের পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০ দলের পক্ষে বিএনপি মহাসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাশেদ খান মেনন, ঢাকা-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাস, স্বরাষ্ট্র সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ