সেই পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইল না

0
398

খবর৭১ঃরাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে ৫দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত আহত শাহজালালও মারা গেছেন। এতে করে ওই সাত সদস্যের পরিবারের আর কেউ-ই জীবিত রইল না। নিহতদের সবার বাড়ি শরীয়তপুরে।

সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে শাহজালালের দুই মেয়ে ও স্ত্রী এবং তার আরও তিন স্বজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, নতুন ভবনের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন শাহজালাল। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর থেকে গার্মেন্টকর্মী শাহজালাল মিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌকায় করে সদরঘাটে যাচ্ছিলেন। তারা সাতজন ছিলেন নৌকাটিতে।

সদরঘাটের কাছাকাছি পৌঁছলে এমভি ‘সুরভী-৭’ লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের পেছনে থাকা পাখার আঘাতে শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

নৌপুলিশের একটি টহল দল শাহজালালকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। বাকিরা পানিতে তলিয়ে যায়। সদরঘাট থেকে পরিবারটির লঞ্চে করে শরীয়তপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল।

পর দিন শুক্রবার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী জামশেদা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। শনিবার আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও থানা পুলিশ।

আর শনিবার সাহিদা-শাহজালালের ছেলে মাহি (৬), মেয়ে মিম (৮) এবং জামশেদার স্বামী দেলোয়ার (২৮) ও তাদের ছয় মাসের ছেলে জুনায়েদের লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার সকালে নিখোঁজ শাহিদা বেগমের লাশও উদ্ধার করা হয়।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here