সু-প্রভাত বাস চালককে ৭ দিনের রিমান্ড

0
310

খবর৭১ঃযমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া সু-প্রভাত বাসের সেই চালক সিরাজুল ইসলামের (২৪) বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গুলশান থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম বুধবার বেলা পৌনে ৩টার পর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে হাজির করে। এ সময় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে চালকের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গুলশান থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন।

এদিকে বাসচাপায় নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর পরিবারকে জরুরি খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

সুপ্রভাত পরিবহনকে কর্তৃপক্ষকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত।

সড়কে সাধারণের নিরাপত্তা দিতে কর্তৃপক্ষের অব্যাহত ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিহত আবরারের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে ভাটারা এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বেপরোয়া বাসটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই পরিবহনের অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক। দুর্ঘটনার পর নিহত ছাত্রের সহপাঠীরা বাসটি আটক করে। এ সময় চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

এদিকে ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় কুড়িল বিশ্বরোডের নর্দা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের সব বাস আটক করে রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করতে থাকেন।

পরে তারা আট দফা দাবি ঘোষণা করেন। বুধবার সকাল থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুন্ধরা গেট এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে যান মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ-উল বারী।

এ সময় মেয়র আতিকুল বলেন, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। যে ড্রাইভার সু-প্রভাত পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন, তার হালকা যান চলাচলের লাইসেন্স ছিল। এটি নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন। এটা কীভাবে সম্ভব! তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী দ্রুত তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সু-প্রভাত পরিবহনের সব বাসের সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

তবে শিক্ষার্থীরা তাদের কথায় আশ্বস্ত না হয়ে দাবি আদায়ে কর্মসূচি চালিয়ে যান।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here