আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আবু বক্কর সিদ্দিক (২২) নামে এক যুবক বিয়ের নামে প্রতারণামূলক মুসলিম স্ত্রীকে তার স্ব-ধর্মের বলে চেষ্টা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের পূর্ব রামজীবন গ্রামের কান্তি রায়ের পুত্র করন্ন কান্তি রায় ওরফে কর্ণ ও তার মা-বাবা মিলে কর্ণের স্ত্রী আমিনা বেগমকে জোরপূর্বক শাখা-সিঁদুর পরিয়ে পুজা করার জন্য চাপ সৃষ্টি অতঃপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। কিন্তু, আমিনা নিজে মুসলমান ও তার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক মুসলমান হিসেবে সে জানে। এতে সে আপত্তি জানায়। একপর্যায়ে প্রতিবেশীদের মাঝে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা রাতেই থানা পুলিশের নিকট স্বামী-স্ত্রীদ্বয় (আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কর্ণ- আমিনা) কে সোপর্দ্দ করেন। এরআগে স্ত্রী আমিনাকে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে আনার আগে পূণরায় আর একটি এফিডেভিট করে কর্ণ। তাতে আমিনার সঠিক নাম ঠিকানা ব্যবহার না করে উল্লেখ করে তার স্ত্রীর নাম শ্রী মতি ববিতা রানী (২০), পিতার নাম অনিল চন্দ্র রায়, মাতা সুধা রানী। পুলিশে সোপর্দ্দ করার পর থেকে তারা এখনো নিরুদ্দেশ রয়েছে। কর্ণ ও আমিনা ঢাকাস্থ কাঁচপুরের একই গার্মেন্টসে চাকরি করার সুযোগে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চরকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের কন্যা আমিনা আক্তার (১৮)’ সঙ্গে প্রেম নিবেদন চালিয়ে আসে। এতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে কর্ণ সনাতন ধর্মাবলম্বী (রায়- বেয়ারা) হলেও নিজেকে মুসলমান পরিচয়ে তাদের বিয়ে সম্পাদন হয়। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট বল্লভেরখাস ইউনিয়নের চেয়াম্যান আকমল হোসেন জানান, বিগত ১৫ মাস আগে কুড়িগ্রামের নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেভিট মূলে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এরপর তারা (স্বামী-স্ত্রী) পূণরায় কর্মস্থল ঢাকার কাঁচপুরে চলে যায়। তারা এখনও আর এখানে ফিরে আসেনি। আব্দুস সামাদের পারিবারিকভাবে তার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম জানান, এ পর্যন্ত তার বোনসহ ভগ্নিপতি তাদের বাড়িতে আসেনি। তারা এখন কোথায় রয়েছে তা তাদের জানা নাই।
এ ব্যপারে সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ- এসএম আব্দুস সোবহান (সোমবার বিকেলে) জানান, আটকের পর সকালে দম্পত্তিকে ৩’শ টাকা দিয়ে আমিনা আক্তারের বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ